রাসেল হোসেন, ধামরাই : দলের দুঃসময়ে ধামরাইয়ের দায়িত্ব আমি নিয়েছিলাম। আমি পাঁচ বছরে যে উন্নয়ন করেছি তা আগের নয় এমপির তুলনায় অনেক বেশি।ধামরাইয়ের আর যে বাকি কাজ রয়েছে সে কাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দিয়ে সম্পন্ন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি বলেছেন ঢাকা-২০ আসন ধামরাই স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এম এ মালেক। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবার নৌকার প্রার্থী হন, এটা এখানের সিংহভাগ দলীয় নেতাকর্মীদেরই চাওয়া। এবারও আওয়ামীলীগের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
বর্তমান সাংসদ এম এ মালেক বলেন, আমি আমার সময়ে ধামরাইয়ের ১৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৪ টি চেয়ারম্যান বানিয়েছি। ধামরাই পৌরসভা হওয়ার পর কেউ আওয়ামীলীগের মেয়র বানাতে পারেনি, সেটা আমি বানিয়েছি।জেলা পরিষদ দুই সদস্য আওয়ামীলীগের বানিয়েছি। এক সময়ে ধামরাই বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল তা ভেঙ্গে আমি আওয়ামীলীগের ঘাঁটিতে রুপান্তর করেছি। আর তাই আমি বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আবারও নৌকা মার্কা দিয়ে ধামরাইয়ের তৃণমুল নেতা ও ধামরাই বাসীর আসা পূরণ করবে।
ধামরাই’র তৃণমূল নেতাদের দাবী, যে নেতা বছরের ৩৬৫ দিনই ধামরাই থাকে। যে নেতা সকল নেতা কর্মীর খোঁজ খবর রাখেন। যে নেতা কর্মীবান্ধব ও জনবান্ধব। যে নেতাকে ধামরাইবাসী ভালবেসে জনবন্ধু উপাধি দিয়েছে। আমরা সেই নেতাকে আবার ঢাকা -২০ ধামরাই আসনের এমপি হিসেবে আমরা চাই।
এ সময় তারা আরও বলেন,সাবেক সংসদ বেনজীর আহমদদের সময়ে ১৬ টি ইউনিয়নে মধ্যে ৪টি আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান ছিল।এমনকি বেনজীর আহমদের নিজ ইউনিয়ন কুশুরাতে বিএনপির চেয়ারম্যান ছিল।পৌর সভায় আওয়ামীলীগের মেয়র ছিল না। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমাদের একটাই দাবী আমাদের বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ মালেককে আবারও আমরা চাই।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে ঢাকা-২০ধামরাই আসনের সাবেক সাংসদ বেনজীর আহমেদ অংশগ্রহণ করেননি। সে সময় তিনি বিএনপি-জামাত জোটের ডাকা লাগাতার হরতাল ও সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ডকেও প্রতিহত করতে চাননি। তাই বাধ্য হয়ে সেদিন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান সাংসদ এম এ মালেককে ডেকে নিয়ে মনোনয়ন দেন।এসব কথা বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধামরাই উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।
এসময় তারা আরও বলেন,শুনেছি বেনজীর আহমদ কয়েক দিন আগে মালয়েশিয়া জনশক্তি রপ্তানিতে ব্যাপক দূর্নীতি করে দুদকের মামলা খেয়েছিল।
এসময় তারা আরো বলেন, বর্তমান ঢাকা-২০ আসনের সাংসদ এম এ মালেক শক্ত হাতে, নেতৃত্বে, বিচক্ষণতার সাথে বিএনপি-জামাত জোটের সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ডকে প্রতিহত করেছেন। অনেক প্রতিকূল পথ অতিক্রম করতে হয়েছে তাকে। আজকে দলের সুদিনে অনেকেই মনোনয়ন চাচ্ছে। সাবেক সাংসদ বেনজীর আহমেদ ও তার অন্য দুই ভাই আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরমও কিনেছেন। অথচ সেদিন তারা কোথায় ছিলেন? ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তো তারা কেউ তখন মনোনয়ন ফরম কিনেন নি।
তারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২০ আসনে বর্তমান সাংসদকেই নৌকার মাঝি হিসেবে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সাথে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যে কোন সিদ্ধান্তকে মেনে নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন।
আপনার মতামত লিখুন :