আহমেদ ইসমাম : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশেষ বৈঠক বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সভা থেকে নির্বাচনের আগে-পরে ও ভোটের দিনের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু রাখতে ১২ দফা নির্দেশনা দেয়া হবে।
ইসি সচিবালয় সূত্রে জানিয়েছে, বিশেষ এই সভা থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনপূর্ব শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে করণীয় স্থির করা, নির্বাচনি আইনের বিধান প্রতিপালনের পরিবেশ তৈরি করা, নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাসভবন ও অফিস কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বৈঠকের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সকল প্রার্থী যাতে প্রচারে সমান সুযোগ পান সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটরা যাতে নির্বিঘ্নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্যকে নিয়োগ করতে হবে।
জানা গেছে, পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইসির কর্মপরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেয়া হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যাওয়া, বৈধ অস্ত্রের অপব্যবহার বেড়ে যাওয়া, এমনকি কিছু গোষ্ঠী বা আন্ডারগ্রাউন্ডের সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে পুলিশের করণীয় ঠিক করা হবে।
এ সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার মাত্রা যাতে না বাড়ে সে বিষয়টিতেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেয়া হবে। নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি গ্রহণযোগ্য ও আইনানুগ নির্বাচন করতে চাই। বিশেষ সভা থেকে পুলিশ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনাই দেয়া হবে। সাধারণত প্রতীক বরাদ্দের পর আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক করে ইসি। এবারও ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে তফসিল ঘোষণার পর বিরাজমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনো ধরনের অবনতি না হয় সেজন্য এই বিশেষ সভা ডেকেছে ইসি।
বিশেষ এই সভায় পুলিশের আইজি, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, উপমহাপুলিশ পরিদর্শক ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই ও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্ধারিত রয়েছে ৯ ডিসেম্বর।
আপনার মতামত লিখুন :