আহমেদ ইসমাম: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।বুধবার (২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জামিন, কারাগারে ভিভিশন ও চিকিৎসা প্রদানের আবেদন করেন তার আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।
সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) রফিকুল ইসলাম মিয়াকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ইস্কাটনের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে রফিকুল ইসলাম মিঞায়ে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিন রাজধানীর উত্তরা থানার দুদকের মামলায় রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ গোলাম মাহাবুব। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। মামলার অভিযোগ করা হয়, ২০০১ সালের ৭ এপ্রিল সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞাকে তার যাবতীয় সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করার জন্য ৪৫ দিন সময় দিয়ে একটি নোটিশ দেয় দুদক।
২০০১ সালের ১০ জুন তিনি দুদকের নোটিশটি গ্রহণ করেন। নোটিশ গ্রহণ করার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২০০১ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত কোনো সম্পদের হিসাব দাখিল করেনি। হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় ২০০৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুদকের অফিসার লিয়াকত হোসেন বাদি হয়ে রাজধানীর উত্তরা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রফিকুল ইসলাম মিঞার বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত শেষ করে ১৯৫৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ৪(২) অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
আপনার মতামত লিখুন :