আহমেদ ইসমাম: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয় থেকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিবি কার্যালয় থেকে প্রিজন ভ্যানে করে পুরান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের পথে রওনা দেয় পুলিশ। পরে তাকে সিএমএম আদালতের একটি হাজতখানায় রাখা হয়েছে। ডিবির একটি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে ইস্কাটনের বাসায় ফেরার পর রফিকুল ইসলাম মিয়াকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ ৬ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহবুব। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। রায় ঘোষণার পরপরই আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০১ সালে ৭ এপ্রিল ব্যারিস্টার রফিক মিয়ার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের নোটিশ ওই বছরের জুনের ১০ তারিখে রফিকুল ইসলাম মিয়া গ্রহণ করলেও কোনো জবাব দেননি।
পরে ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। পরে ওই বছরের ৩০ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয় এবং ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর বিচার শুরু হয়। বিচারকরা ৬ জনের সাক্ষ্য নিয়ে মামলাটির রায় দেন। তবে রায় ঘোষণার সময় ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম আদালতে হাজির ছিলেন না।
আপনার মতামত লিখুন :