মো. মারুফুল আলম: আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের একটি রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে আদেশ আছে, ফেরারি আসামির কোন বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। ‘প্রচার করা যাবে না’ বক্তব্য দ্বারা ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়া উদ্দেশ্য। তারেক রহমান স্কাইপে এসে যে কথাবার্তা বললেন বা সাক্ষাতকার নিলেন এটা সকল মিডিয়া প্রকাশ করেছে, যা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের আদেশের লঙ্ঘন। মঙ্গলবার যমুনা টিভির ‘২৪ ঘন্টা’ টকশো’তে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনের ভেতরে দন্ডবিধি একটি উল্লেখযোগ্য আইন। এই আইনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। কোনোভাবে পলাতক ফেরারী আসামিকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না, সহায়তা করা যাবে না। দন্ডপ্রাপ্ত কোন আসামিকে কেউ সহযোগিতা করলে সেটাও ফৌজদারি অপরাধ। তারেক রহমান দুটি মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তাকে নির্বাচনী প্রচারণা বা সাক্ষাতকার কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করানোর মাধ্যমে কার্যত তাকে সহায়তা করা হচ্ছে। এটা আমাদের দেশের বিদ্যমান আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দন্ডের পূর্বে যদি তিনি শুধুমাত্র আসামি হয়ে পলাতক থাকতেন সেটাও অপরাধ ছিলো, আর দন্ডপ্রাপ্ত হবার পরেতো অন্যরকম।
তারেক রহমান তার দলের সাক্ষাতকার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন এই তথ্য কি গণমাধ্যম জানাতে পারবেনা? এ প্রশ্নের উত্তরে রেজাউল করিম বলেন, যে ব্যক্তিটি আইনের দৃষ্টিতে আইনের কাছে সারেন্ডার করেননি এবং যে ব্যক্তি দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি, তাকে কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিয়ে কার্যত আইনের শাসনের এবং বিদ্যমান আইনের পরিপন্থি কাজ করা হয়েছে। ধরেন, আপনার এই হাউজে ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত একজন আসামি যেমন ওসামা বিন লাদেনের ইন্টারভিউ এলাও করবেন? তারেক রহমানের ব্যাপারে আইনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আদালতের আদেশ রয়েছে। বিদ্যমান আইনে আদেশ রয়েছে। তার ইন্টারভিউর প্রসঙ্গটি সমস্ত প্রিন্টিং মিডিয়ায় এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এসেছে যে, উনি এভাবে ইন্টারভিউ নিয়েছেন। তাহলে প্রকারান্তরে উনার বক্তব্যটাই, উনার কর্মকান্ডটাই কি মিডিয়ায় আসলো না?
‘আওয়ামী লীগই কিন্তু এই প্রসঙ্গকে সামনে নিয়ে এসে এক ধরণের প্রচারণা চালিয়ে গেলো’ সঞ্চালকের এমন উদ্ধৃতির জের ধরে রেজাউল করিম বলেন, আমরা চেয়েছি আইনের শাসন হোক। আদালতের নির্দেশ প্রতিপালন করা হোক, সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার প্রতিপালন করা হোক। দন্ডবিধির বিধানকে প্রতিপালন করা হোক। ‘নির্বাচনি কাজে তারেক রহমানের প্রভাব’ প্রসঙ্গে রেজাউল করিম বলেন, তারেক রহমান কি রকম প্রভাব রাখতে পারেন, সে অভিজ্ঞতা আমাদের আছেই। সেটি হলো দুর্নীতিকে তিনি উজ্জীবিত করতে পারেন, তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২১ আগস্ট এর মতো নির্মম বর্বরোচিত ঘৃণ্য ঘটনা ঘটাতে পারেন। কাজেই আতঙ্ক আছে। রাজনৈতিকভাবে তিনি প্রভাব ঘটাতে পারবেন সেটা আমরা কল্পনা করিনা, চিন্তাও করি না।
আপনার মতামত লিখুন :