অজয় দাশগুপ্ত : কখনো দেখেছেন নেতা সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন কারো? কারো মুখের সামনে মাইক্রোফোন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কেউকেটা কেউ? কোনো চ্যানেলে আর কাউকে এনে সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন কোনো অভিনেতা, খেলোয়াড় বা সেলিব্রেটি কেউ? উল্টোটাই রীতি। তাই যারা বলছেন, একাত্তর টিভির উপস্থাপিকা হিরো আলমকে অপমান করেছেন আমি তাদের সাথে একমত নই। বরং হিরো আলমই তাকে একহাত দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি তার মুখের ওপর জবাব দিয়েছেন এই বলে; বিখ্যাত না হলে আমাকে ডাকলেন কেন? কথা কি মিথ্যা? হাজার হাজার নমিনেশান প্রার্থীর ভীড়ে নগন্য হলে হিরো আলমকে ডাকা হলো কেন?
আর প্রমিত বাংলা? দেশের নাটক, সিনেমা ভদ্রজন সুধিজনের বলেন, দৌড়ের উপর আছি। বিন্দাস লাগতাছে। মাইরের ওপর ওষুধ নাই। আর হিরো আলম বললে দোষ?
আমার বরং মনে হয়েছে তার কথায় যুক্তি আছে। যে সমাজে ইয়াবা বদি, সেলিম ওসমান এমপি হতে পারে সেদেশে হিরো আলমের অপরাধ কি? সে তথাকথিত অভিজাত আর ভদ্রবেশী চোর ডাকাত নয় বলে তাকে ডেকে এনে অপমান করা মূলত এদেশের আম জনতাকে অপমান করার সামিল।
তার একটা কথা আমার মনে গেঁথে থাকবে অনেক কাল। বলছিলো সংসদের নেতারা বেশি বোঝেন বলেই আজ সমাজের এই হাল। কম বুঝলে বা তার মতো সরল হলে এমনটা হতোনা তখন মনে হচ্ছিলো কেউ যেন চোখে আঙুল আর বুকে গা দিয়ে বলছে , বুঝলে তো এরাই সত্য বলে। তোমাদের মতো হিপোক্রেটরা সম্মান করতে না জানলেও অপমান করতে জানো খুব। সাবাশ হিরো আলম। আমার এলাকার হলে তোমাকে ভোট দেয়ার কথা বলাটাই হতো ন্যায্য প্রতিবাদ।
লেখক : কলামিস্ট ও বিশ^বিদ্যালয় পরীক্ষক
আপনার মতামত লিখুন :