আমিরুল ইসলাম : জরুরি স্বাস্থ্যবীমার মাধ্যমে দরিদ্রদের স্বাস্থ্য ব্যয় কমানো সম্ভব বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের সহযোগী অ্যাপক ডা মো. শাহিনুল আলম। এ প্রতিবেদকের সাথে আলোচনা কালে তিনি জানান, এক জরিপে দেখা যায় যে দরিদ্র লোকদের চিকিৎসাখাতে যে ব্যায় হয় তার মধ্যে যানবাহনে ১২ শতাংশ, ঔষধের মাধ্যমে ১৫ শতাংশ, পরীক্ষা নিরীক্ষা ১৫ শতাংশ, চিকিৎসকের পেছনে ব্যায় মাত্র ১২ শতাংশ। আমাদের দেশে সরকার থেকে বাজেটর মাত্র ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করা হয় বলে এ খাত থেকে সাধারণ মানুষ তেমন কোনো সুফল পাননা। পাশ^বর্তী সকল দেশ থেকে আমাদের দেশে স¦াস্থ্যখাতে অর্থ ব্যয় কম। স্বাস্থ্যখাতে বাজেটের কমপক্ষে ১৫ শতাংশ ব্যয় করা উচিত বলে তিনি জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে এই সমস্যা সমাধানের জন্য বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সেবাখাত চালু করার প্রয়োজন রয়েছে। সামাজিক বীমা ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে সকলের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করতে হবে। যারা সরকারি চাকরিজীবী রয়েছে সবার বেতনের একটা অংশ সাধারণ জনগণের চিকিৎসার জন্য ফান্ড করে রেখে দিতে হবে। প্রবাসীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার মাধ্যমে প্রবাসী বীমা চালু করতে হবে। যার অর্থের মাধ্যমে প্রবাসীদের আত্মীয়স্বজন ও দরিদ্র প্রতিবেশীদের চিকিৎসা করা হবে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। গার্মেন্টস কর্মীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করার মাধ্যমে সকল গার্মেন্টসকর্মীর চিকিৎসা করা হবে।
চিকিৎসা ব্যয় সামাল দিতে গিয়ে বছরে প্রায় ৬৫ লাখ লোক দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জরুরি সেবাখাত চালু করতে পারলে সাধারণ মানুষের আর বিনা চিকিৎসায় যত্রতত্র মৃত্যুবরণ করতে হবে না এবং চিকিৎসা নিতে গিয়ে হতদরিদ্র হতে হবে না। ২০১১ সালের স্বাস্থ্যনীতিতে বলা আছে সকলের জন্য জরুরি স¦াস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন ফান্ড গঠন করে তার তদারকির দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে পালন করতে পারলে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আর কাউকে দেউলিয়া হতে হবে না বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :