মতিনুজ্জামান মিটু: তা জানতে এই প্রথম দেশের বাজারে পাওয়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ও আমদানী করা জুসের গুণমান পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বার্ক) এর পুষ্টি ইউনিট এখানকার বাজারের জুস মানবদেহের জন্য উপকারি না ক্ষতিকর তা যাচাইয়ে ব্যাপকভাবে ওই পরীক্ষার কাজ করছে।
বার্ক এর পুষ্টি ইউনিটের পরিচালক ড. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গুণমান যাচাইয়ে ইতোমধ্যে মহানগরসহ দেশের নানা স্থানের বাজারের বিভিন্ন ধরণের জুসের নমুনা সংগ্রহ করার কাজ চলছে। নমুনা সংগ্রহ শেষে তা পরীক্ষার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি এসজিএস অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হবে। সব প্রক্রিয়া শেষে আগামী মাস তিনেকের মধ্যে জুস পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন দেশী বিদেশী কোম্পানীর নানা ধরণের মধ্যে বাংলদেশের বাজারে অরেঞ্জ ও ম্যাঙ্গো জুসই বেশি পাওয়া যায়। সব বয়সের নারী এবং পুরুষর পান করলেও বাচ্চা বা শিশুদের কাছে জুস অনেক বেশি লোভনীয়। অসময়ে বাড়তি পুষ্টির জন্য সাধারণত বাবা-মা তাদের আদরের শিশু সন্তানের হাতে জুস তুলে দেন। এদেশে জুসের উৎপাদন ও কেনাবেচা চলছে অনেক বছর। কিন্তু ইতোপূর্বে এই জুস মানবদেহের জন্য বিশেষ করে দেশের ভাবিষ্যত প্রজন্ম শিশুদের জন্য কতটা নিরাপদ ও পুষ্টিদায়ক তা যাচাই করে দেখা হয়নি।
পরীক্ষায় অনেক বিষয়ের মধ্যে প্রধানত দেখা হবে জুসে ফলের পাল্প এর উপস্থিতির পরিমাণ ও তাতে সঠিক মানের ফুড গ্রেড কালার বা রং ব্যবহার করা হয়েছে কিনা? এই পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পর জানা যাবে জুসের নামে আমরা আসলে কি পান করছি। ফলের জুস না অন্য কিছু?
আপনার মতামত লিখুন :