শিরোনাম

প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:৫৮ দুপুর
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:৫৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে অতিরিক্ত ২ হাজার কোটি টাকা ধার করছে

রাশিদ রিয়াজ : বাজেট বরাদ্দ ঠিক রাখতে ও ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে আরো ২ হাজার কোটি টাকা ধার নিচ্ছে। সরকার এমন এক সময় এ ধার নিতে যাচ্ছে যখন সামনের মাসে দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এছাড়া কর মেলায় আহরিত ১৮.৯৯ বিলিয়ন টাকা সরকারের কোষাগারে যেতে কিছুটা সময় লাগবে বলে সরকার এধরনের বাড়তি ঋণ নিতে যাচ্ছে। এর ফলে এ মাসের শেষ নাগাদ ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণের পরিমান দাঁড়াবে ৩০.৪২ বিলিয়ন টাকা। যা এর আগে ছিল ১০.৪২ বিলিয়ন টাকা। এছাড়া বন্ড ছেড়ে প্রয়োজনে আরো টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের এমাসেই। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, অর্থমন্ত্রণালয়ের পরামর্শে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অকশান বা নিলামের ক্যালেন্ডার সংশোধন করেছি। যা মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হয়েছে। নির্বাচনের সামনে সরকারকে তাৎক্ষণিক ব্যয় মেটাতে এ সংশোধন করতে হয়েছে। আর সংশোধনের সময় সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করা হয়েছে। প্রয়োজনে নির্বাচনের সময় সরকার আরো ঋণ গ্রহণ করতে পারে। আর এধরনের ঋণ গ্রহণের ফলে বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না।

তবে বেসরকারি ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, সরকারের ঋণ নেওয়ার ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে স্থানীয় মুদ্রার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে গত রোববার কলমানি রেট সাড়ে ৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে ৩.৬০ শতাংশে।অবশ্য গত বছরের মাঝামাঝি নাগাদ সঞ্চয়পত্র থেকে অতিমাত্রায় ঋণ আসায় ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নিতে হয়নি সরকারকে। উল্টো বিগত বছরের ঋণ পরিশোধ করছে সরকার। বিদায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত ব্যাংককিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের নিট ঋণ কমে ১৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ওই ১১ মাসে সরকার ব্যাংককিং ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার তুলনায় পরিশোধ করে বেশি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়