শিরোনাম
◈ সন্ত্রাসী অপরাধে গ্রেপ্তারদেরও নিজেদের কর্মী দাবী করছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:১০ সকাল
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গত একমাসে দুই দলের ভূমিকা ভালো-মন্দ মিলিয়ে একই রকম

রাজেকুজ্জামান রতন: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য করতে গত একমাসে বড় দুই দল ইতিবাচক কাজ যেমন করেছে তেমনি নেতিবাচক কাজও করেছে। মোটাদাগে ভালো-মন্দ মিলিয়ে  বড় দুই দলের ভূমিকা একই রকম। তবে ইতিবাচক ভূমিকার চেয়ে নেতিবাচক ভূমিকা বেশি রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, গত একমাসে বড় দুই দল ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে এবং নেতিবাচক ভূমিকাও রেখেছে।

তিনি বলেন, এক টেবিলে বসে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ক্ষমতাসীনদের প্রতি বিরোধী দলগুলোর সংলাপের আহ্বান করা ইতিবাচক ছিলো। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অনড় অবস্থান পরিবর্তন করে বিরোধীদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এক টেবিলে বসে সংলাপ করেছে, এটা ক্ষমতাসীনদের ইতিবাচক মনোভাবের প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু সংলাপ থেকে কাক্সিক্ষত ফলাফল আসেনি। এটা নেতিবাচক বা হতাশাজনক বলে গণ্য করা যায়। এক কথায় সংলাপ ইতিবাচক কিন্তু ফলাফল নেতিবাচক।

দুই দল এখনো  কাদা ছোড়াছুড়ি করে যাচ্ছে। যে যেমন পারছে একে অপরের প্রতি ধারাবাহিকভাবে অভিযোগ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আসেনি। তাদের এমন আচরণে জনগণ বিরক্ত। এটা সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়।

অপরদিকে বলা যায়, এই বড় দুই দলকে নিয়ে জনগণ সবসময় ভয়ে থাকে। কখন যেন তারা সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এখনো দুই দল কথার মাঝেই সীমাবদ্ধ আছে। সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েনি। এটা জনগণের জন্য স্বস্তিকর বিষয়।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যেকোনো পরিস্থিতিতে সব দল নির্বাচনে অংশগ্রণের ঘোষণা দিয়েছে। এটা নির্বাচনী  গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচ। তবে তারা যে ভাষায় কথা বলছেন, তাতে নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিসের গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। মনে হচ্ছে, বিএনপি সুযোগ পেলে সহিংসতা ছড়াবে।

দুই দলই ইতিমধ্যে নিজেদেরকে জনগণের ভূমিকায় অবতীর্ণ করেছে। জনগণ কি বলতে চায় সেটা শুনার সময় তাদের নেই বা ইচ্ছা নেই। নির্বাচনে জনগণ কি মতামত প্রদান করবে, তারা সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে চাচ্ছে না। নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগেই মনে হচ্ছে তারা ক্ষমতায় চলে গেছে। জনগণের মত উপেক্ষা করে একে অপরকে হুঙ্কার দিয়ে চলেছে।

দুই দল নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাচ্ছে। কিন্তু তারা বলছে না, নির্বাচনের পরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ কেমন হবে এবং নির্বাচনের আগে পরিবেশ কেমন হওয়া উচিত? শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই তারা উৎসুক হয়ে আছে। এটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণ এটা আসা করে না। ঘুরেফিরে দুই দল একই।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়