শিরোনাম
◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:০৬ সকাল
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জীবন একটা আর্ট, জুলুম নয়

জুলফিয়া ইসলাম: মানসিক পরিণতির স্তর উন্নত হওয়া মানেই সুখের বর্ধন, খাপ খাওয়ানো আর সমঝোতায় চলা। মানসিক পরিণতির স্তর উন্নত না হলে অপরের অনুভূতি ও সমস্যা বুঝতে পারা সম্ভব নয়। জীবনের অধিকাংশ সময় আমরা অন্যের মাঝে নিজের গ্রহণযোগ্যতা খুঁজে বেড়াই। কিংবা নির্ভর করতে চাই। আবেগ আর নির্ভরতার প্রকাশ আমাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখে। মানব প্রজাতির অবিচ্ছেদ্য দুটি অংশ নারী ও পুরুষ। একই প্রকৃতির নিচে সামাজিকভাবে সভ্য মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার ঊষালগ্নে নারী ও পুরুষের সংগ্রাম শুরু হয় একই সাথে। সৃষ্টির আদি থেকেই নারী ও পুরুষ একের প্রতি অন্যের যে মোহমায়া সেটা প্রকৃতি প্রদত্ত। সৃষ্টির রহস্য উভয়ের মাঝেই পরিপূর্ণতা পায়। সঙ্গ ও সহযোগিতা ছাড়া জীবন ধারণ করা একেবারেই সম্ভব নয়।

জীবন তো এক ভালবাসার মিশ্রণ। যে মিশ্রণে জড়িয়ে আছে ¯েœহ, প্রীতি, শ্রদ্ধা ও সমীহের ভাব। এই সমীহের ভাব চলে যায় যখন রিপুর তাড়না সত্যের চেয়ে বড় হয়ে দেখা দেয়। দেখা দেয় উগ্র হয়ে। মোহের উগ্রতা কেটে গেলে আবার সবই হয়ে যায় ফাঁকা। উগ্রতা চৈতন্যের আলোকে ম্লান করে দিয়ে সত্যকে আবৃত করে রাখে। অতিরিক্ত রিপুর তাড়নায় মানুষ হয়ে পড়ে লোভী। লোভের বাসনাই অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে। যে প্রেম ব্যক্তি স্বাধীনতাকে আবদ্ধ করে তা কামুকতার পর্যায় অতিক্রান্ত প্রেম নয়। আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য না থাকলে মানুষের মনুষত্ব খর্ব হয়। বর্তমান পৃথিবীতে মানুষের জীবনে যতো রকমের ঈর্ষা এবং ক্রোধ তার পিছনে আছে ভালোবাসা না পাওয়ার যন্ত্রণা। মানুষের মনে হিংসা ও প্রেম দুটোই পাশাপাশি কাজ করে থাকে। হিংসা ও ক্রোধ দুটোই জীবনে বিপর্যয় ও ধ্বংস ডেকে আনে। প্রেমে আনে মিলন ও সৃষ্টি। সভ্যতার অগ্রগতি শুরু হয়েছিলো প্রেম জয়গানেই।

জীবন তো এক আলোছায়ার খেলা। যেখানে অতি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে একজন বুদ্ধিমান মানুষও বিচিত্র এক অনুভবের জগতে বাস করে। চিরচেনা অভ্যস্ত জীবন আর সম্পর্কের মাঝে তো সে বিবর্ণ। স্বপ্নের মাঝেই তো তার জাগরণ। মানুষ কি তার জীবনের বহিরঙ্গ চাপের মাঝেও অন্তর্মূখী মনটাকে একবার দেখার চেষ্টা করে? যে জীবনে সে অনুভব করতে পারে নিজেকে? কিছু কিছু সময় বাস্তবের পুরস্কারও ম্লান হয় অন্য কোনো চরিতার্থতার কাছে। কোন সে চরিতার্থতা? সে কি মানুষের প্রতি মানুষের বিচিত্র বন্ধন? কোনটি বড়? আবেগ? ভালবাসা? নাকি কর্তব্যবোধ? মানব বন্ধনের সভ্যতার বিন্দু কোথায়? সত্য। সে তো বাস্তবে এক আর স্বপ্নে আরেক। ‘ভালোবাসি’ আর ‘ভালবাসি না’। এই দুইয়ের মাঝে তফাৎ ছোট্ট একটু ‘না’ এর। শেষ অবধি বেঁচে থাকাটাই সত্য। যেখানে কান্না হাসির দোল আর পৌষ ফাগুনের খেলা। লেখক : কথাসাহিত্যিক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়