ইসমাঈল হুসাইন ইমু : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম সোমবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের দুর্গম চরাঞ্চল চরচিলমারী ও উদয়নগর বিওপি পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও মেহেরপুরের সীমান্ত এলাকার বাজিতপুর বিওপিও পরিদর্শন করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিজিবি দেশের সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দীর্ঘ ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার সীমান্তে দিন-রাত অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এই দীর্ঘ সীমান্ত এলাকার ভৌগলিক অবস্থানগত বৈশিষ্টের ভিন্নতার কারণে অনেক সীমান্ত এলাকা অত্যন্ত দুর্গম। পাহাড়ি এবং সমতল উভয় সীমান্তেই এমন অনেক দুর্গম এলাকা রয়েছে যেখানে যাতায়াতের কোন সড়ক নেই, এমনকি পায়ে চলার রাস্তাও নেই। বিজিবি’র অনেক বিওপি রয়েছে যেখানে হেলিকপ্টার ছাড়া খাবার ও রেশন সামগ্রী পৌঁছানো সম্ভব নয়।
এছাড়া অনেক বিওপি রয়েছে যেখানে হেলিকপ্টার অবতরণেরও ব্যবস্থা নেই। উপযুক্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় বিকল্প উপায়ে অনেক বিওপিতে কয়েক সপ্তাহ পরপর খাবার ও রেশন সামগ্রী পৌঁছাতে হয়। এসব দুর্গম বিওপিতে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যদের সীমান্ত রক্ষার নিয়মিত দায়িত্ব পালনসহ সেখানে তাদের অবস্থান ও দৈনন্দিন জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার ও রশদ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা বিজিবি দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করছে।
মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বিজিবি মহাপরিচালক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন দুর্গম সীমান্তের বিওপি এবং সেখানকার সীমান্ত ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশী অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এমনকি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি উক্ত এলাকার সবচেয়ে দুর্গম বিওপি পরিদর্শন করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি কুষ্টিয়ার চরচিলমারী, উদয়নগর এবং মেহেরপুরের বাজিতপুর বিওপি পরিদর্শন করলেন। চরচিলমারী ও উদয়নগর বিওপিতে বিজিবি’র কোন মহাপরিচালকের এটাই প্রথম পরিদর্শন।
পরে বিজিবি মহাপরিচালক চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের আওতাধীন মেহেরপুরের বাজিতপুর বিওপি পরিদর্শন করেন। সেখানেও তিনি দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং নির্দেশনা প্রদান করেন। সীমান্ত পরিদর্শনের সময় বিজিবি’র দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিয়ন, যশোরের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ আল মামুন, কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রাশিদুল আলম এবং বিজিবি’র কর্মকর্তাবৃন্দ মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :