আসাদুজ্জামান সম্রাট : পুলিশের সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদকে দলীয় মনোনয়ন না দিতে একাট্টা হয়েছে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের ১১ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। তারা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধ স্বাক্ষীর ছেলেকে নূর মোহাম্মদকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না দিতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়, আইজিপি নূর মোহাম্মদের পিতা নুন্দর আলী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার স্বাক্ষী এবং পাকিস্তান আর্মির গুপ্তচর ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে সে এবং তাঁর পরিবার স্বাধীনতা বিরোধী ছিল। তাঁর অত্যাচারী ও সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় তাকে হত্যা করে।
নূর মোহাম্মদ সরকারি চাকরিতে থাকাকালীন অসৎ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়। যা দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তনাধীন। বর্তমানে এলাকায় তিনি বিএনপির সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের নিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে। মাঠ পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী তার সঙ্গে নেই। তার প্রচারসভায় সে কোনোদিন জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা কিংবা সরকারের কোনো উন্নয়ন বিষয়ে কথা বলেন না।
চিঠিতে আরো বলা হয়, গত ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে তার সমর্থকরা তাকে অংশগ্রহণের কথা বললে সে বলেন, ‘এসব কাজে কাজে আমি যাই না।’ এ ধরনের বিতর্কিত ব্যক্তিকে জনগণের সামনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরা কঠিন হবে। কিশোরগঞ্জ-২ আসনটি আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক। দল থেকে যেকোনো ভালো, ক্লিন ইমেজ ও বিতর্কিত নন এমন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে তিনি সহজেই নির্বাচিত হয়ে আসতে পারবেন।
কিশোরগঞ্জ-২ আসনের মনোনয়ন পেতে মোট ১৩জন মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছিলেন। যার মধ্যে ১১জনই এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। এরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ আফজাল, বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন এমপি, যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়ন মো. আলী আকবর, পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রেনু, ইঞ্জিনিয়ার এমএ মান্নান, মইনুজ্জামান অপু, মো. তরিকুল মোস্তাক রানা, ডা. মাজহারুল মান্নান ও অ্যাডভোকেট লায়ন মো. নূরুজ্জামান ইকবাল।
আপনার মতামত লিখুন :