শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০১৮, ০৮:০৫ সকাল
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০১৮, ০৮:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কী করলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়?

বাংলাদেশ জার্নাল : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগ, ‘হাসিনা: এ ডটার্স টেল’ চলচ্চিত্রটি এখন বিভিন্ন হলে মুক্তি দেয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করছে।

শনিবার বিকালে নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এটি দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হচ্ছে যদিও ভোটের ২১ দিন আগে থেকে এই প্রচারণা শুরু করা যায়।

এদিকে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ডঃ এম সাখাওয়াত হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আচরণবিধির আওতায় পরে যাচ্ছেন সবাই। নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর দিন না আসা পর্যন্ত এখন যেভাবে পোষ্টার ব্যানার লাগানো হচ্ছে বা দল বেধে মিছিল করে যাচ্ছেন প্রার্থীরা তার সবকিছুই আসলে অবৈধ।

তিনি সবচাইতে বেশি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছিলেন। পোস্টার লাগানোর বিষয়ে প্রচুর আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়ে থাকে। নির্বাচনের পোষ্টার সাদাকালো হতে হবে। কিন্তু সাদাকালো পোস্টার তেমন দেখা যায়না। পোস্টারে দলের নেতা ছাড়া আর কারো ছবি দেয়া যাবে না।

তবে বেশিরভাগ পোস্টারে প্রার্থিতা প্রত্যাশী ছাড়াও আরও অনেকের ছবি থাকে। পোস্টারগুলোও রঙবেরঙের হয়ে থাকে। পোস্টারে কোন ছাপাখানা থেকে কতগুলি ছাপানো হল তার তথ্য পরিষ্কার থাকতে হবে।

পোস্টার দেয়ালে, গাড়িতে এমনকি গাছেও লাগানো নিষেধ। শুধুমাত্র রাস্তার উপরে দড়ি দিয়ে পোস্টার ঝোলানো যাবে। নির্বাচনের সময় দেয়াল লেখনও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যত্রতত্র ক্যাম্পেইন অফিস বানানো নিষেধ।

এখন নিয়ম হল একটি পৌরসভায় প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে ক্যাম্পেইন অফিস থাকতে পারবে। সেই কার্যালয়ে টেলিভিশন রাখা নিষেধ, মাইক লাগানো যাবে না। দুপুর দুটো থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এইটুকু সময় প্রার্থীরা প্রচার করতে পারবেন।

জনদুর্ভোগ এড়াতে এই নিয়ম করা হয়েছে। একটি ওয়ার্ডে তিনটির বেশি মাইক ব্যবহার নিষেধ। ভোট পাওয়ার জন্য মানুষজনকে দাওয়াত দেয়া, খাওয়ানো বা উপহার দেয়া নিষেধ। নির্ধারিত সময়ের আগে প্রচারণা শুরু করা যাবে না।

এই সময়ে কোন মন্ত্রী তার এলাকায় গেলে প্রোটকল পাবেন না। কাগজে অবশ্য বলা আছে কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এই সময় তারা কোন উন্নয়নমূলক কাজ উদ্বোধন করতে পারবেন না যা প্রচারণা বলে গণ্য হতে পারে। শুধুমাত্র চলতি প্রকল্প বাদে এই সময় কোন অনুদান দেয়ারও অনুমোদন নেই।

নতুন কোন প্রকল্প নেয়া যাবে না। কোন মসজিদ, মন্দির বা গির্জায় ভোট চাইতে পারবেনা না প্রার্থীরা।

ডঃ এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, প্রায় সকল বিষয়ই বাংলাদেশে লঙ্ঘিত হচ্ছে। কিছু এলাকায় এমনকি বছর-খানেক হল পোস্টার লাগানো শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সেগুলো উঠিয়ে ফেলতে বললেও মানছেন না প্রায় কেউই। তবে টাকা খরচের নিয়মটিই সবচাইতে বেশি লঙ্ঘন হচ্ছে। টাকার বিষয়টি উল্লেখ আছে নির্বাচন বিষয়ক আইনে।

২০০৮ সাল থেকে একজন প্রার্থী ভোটার প্রতি দশ টাকা খরচ করতে পারবেন। তবে তার সকল খচর সর্বচ্চো ২৮ লাখ টাকার উপরে যেতে পারবে না। কিন্তু কে কিভাবে কত টাকা খরচ করছেন এর এখনো সঠিকভাবে হিসেব করার কোন পদ্ধতি নেই দেশে।

সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, তাদের পক্ষ থেকে একসময় দৈনিক নির্বাচনী খরচের হিসেব পর্যবেক্ষণের প্রস্তাব করা হয়েছিলো। প্রার্থীরা এখন একবারে একটি হিসেব দিয়ে থাকেন। তবে সেই হিসেব নিয়ে সন্দেহ পোষণ করা হয়।

আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে জরিমানা ও জেল দু ধরনের শাস্তির ব্যবস্থাই রয়েছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে যার এই শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। কমিশন তদন্তের জন্য কমিটি তৈরি করে যাতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছয় মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারেন। এর উপরে হলে আদালতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যেতে হবে। চরম শাস্তি হল প্রার্থিতা বাতিল করা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়