শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:২৪ সকাল
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রণেভঙ্গ দিলে ভালো নির্বাচন হবে কীভাবে?

অধ্যাপক ড. মীজানু রহমান : একটি ভালো নির্বাচনের প্রত্যাশায় দেশবাসী। কিন্তু এই ভালো নির্বাচন নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। রাজনৈতিক দলগুলো যদি আন্তরিকভাবে শেষ পর্যন্ত অবস্থান করে তাহলে সবার প্রত্যাশার সেই নির্বাচন হবে। কিন্তু মাঝখানে যদি রণভঙ্গ দিয়ে চলে এসে বলে,  ‘ব্যর্থতাই সফল্যের চাবি’Ñ তখন দুষ্কৃতিকারীরা সামনে চলে আসবে। আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরেও বহু স্বার্থান্বেষী মহল রয়েছে যারা এর ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করবে। তখন একটা অরাজকতা তৈরি হবে। সেজন্য আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে শেষ পর্যন্ত, সমস্ত শক্তি নিয়ে ভোটের মাঠ ও কেন্দ্রে অবস্থান করলে একটি ভালো নির্বাচন পাবে দেশবাসী। অন্য কারো পক্ষেই ভালো নির্বাচন করানো সম্ভব নয়। এটা একটা ভালো লক্ষণ যে সবগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। মানুষ যদি ভোট দিতে পারে ঠিকমতো তাহলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়ে যাবে।

আমাদের দেশে আজব একটা শব্দ ব্যবহার করা হয়Ñউৎসব-মুখর! এটা আবার কী? কোনো গণতান্ত্রিক, সভ্য দেশে এসব শব্দ ব্যবহার করা হয় না। ইউরোপ-আমেকিা, ইংল্যান্ডÑ যেখানে গণতন্ত্রের জন্ম হয়েছে সেখানে নির্বাচন হলে কেউ টেরও পায় না। এখানে উৎসবের কোনো ব্যাপার নেই। আমাদের দেশ কীভাবে পরিচালিত হবে, কার নেতৃত্বে থাকবে, নীতি-নির্ধারণী বিষয়গুলো কীÑ ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপার। নির্বাচন কখনো উৎসব হতে পারে না। কারণ নির্বাচন একটা সিরিয়াস ব্যাপার। মানুষকে তথ্য দিতে হবে, যাতে তারা সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পারে। সঠিক নেতৃত্ব বেছে নিতে পারে। গাড়ি-গোড়া নিয়ে হৈচৈ, লাফালাফি কোনো ভালো নির্বাচনের সহায়ক নয়। নির্বাচন কখনো উৎসব-মুখর হওয়া উচিত নয়, এটাকে সিরিয়াসলি নেওয়া উচিত। জাতীয় জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় হচ্ছে নির্বাচন।

এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের যে উন্নয়ন হচ্ছে, তার ধারাবাহিকতা রক্ষার বিষয় রয়েছে। আছে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নেরও। জঙ্গিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংরক্ষণের প্রশ্ন আছে। কোন দল, কার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভালো সেটিও আমাদের ভেবে দেখতে হবে। সিদ্ধান্ত আপনার হাতে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারেন আপনিই। আমাদের সবার লক্ষ যেহেতু বাংলাদেশকে ভালো রাখা, সবাই মিলে ভালো থাকা সেভাবে সিদ্ধান্তগুলো আপনি দেবেন। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। পছন্দ আপনার হাতে, কোন রাজনৈতিক দল, কোন নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেবেন।

পরিচিতি : উপাচার্য, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়