আসিফুজ্জামান পৃথিল : বছরের পর বছর ধরে বিশ^জুড়ে যৌন হেনস্থার শিকার হাজারো মানুষ আতঙ্কের মাঝে দিনযাপন করছে। বিশে^র প্রায় সকল স্থানেই মানুষ এর শিকার হচ্ছে। কোনভাবেই এ ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে দমন করা যাচ্ছে না। গালফ নিউজ
এ ধরণের ঘটনার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া মারাত্বক হতে পারে। এর ফলে বিষন্নতা, আতঙ্ক এমনকি শারিরিক সমস্যার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। বিশন্ন এ মানুষেরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিজেদের ক্ষতিও করে বসতে পারে। এতদিন মানুষের বদ্ধমূল ধারণা ছিলো, ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার শিকার হয় শুধু নারীরাই। এ কারণে তাদের সমাজের সংবেদনশীল অংশ ভাবা হতো। তবে এই ধারণা ভাঙতে শুরু করেছে। পুরুষরাও প্রায়শই যৌন হেনস্থার শিকার হয়, তারা সাধারণত এ বিষয়ে মুখ খোলে না বা খুলতে পারে না।
ইদানিংকালে এ বিষয়ে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ১০ জনের ১ জন তরুণ পুরুষ যৌন হেনস্থার শিকার হয়। প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, বেশিরভাগ পুরুষ বুঝতেই পারে না তারা হেনস্থার শিকার হয়েছে। এদিকে বিবিসি’র এক প্রামাণ্যচিত্র অনুযায়ী, বিশে^র প্রতি ৬ জনের একজন পুরুষ ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনাগুলোর মাত্র ১০ শতাংশ কর্তৃপক্ষকে জানানো রহয়।
নারীর মতো পুরুষের মনও যথেষ্ঠ সংবেদনশীল। তাদেরও অনুভূতি রয়েছে। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তারাও মানুষ। তাদেরও অপরাধের শিকার হওয়ার গ্লানিবোধে ভুগতে হয়। পুরুষদের হেনস্থা লুকিয়ে রাখার আরেকটি কারণ হলো সমাজ তাদেরকে নারীর চাইতেও বেশি দোষারোপ করে। এমনকি তাদের যৌন সক্ষমতা নিয়েও মসকরা করা হয়। যতদিন আমরা পুরুষের প্রতি আমাদের মানষিকতা না বদলাবো, ততদিন এ ধরণের নির্যাতন বন্ধ হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :