সুজন কৈরী: রাজধানীর উত্তরা থেকে আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচারকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১১। আটককৃতরা হলেন- মো. জাহিদুল হাসান (৩২), খন্দকার বুলবুল ইসলাম (৩৪), রফিকুল ইসলাম (৪১) ও মো. মাসুদুর রহমান (২৯)। তাদের কাছ থেকে আমদানী নিষিদ্ধ বিরল প্রজাতির ২টি টোকান পাখি ও ১টি ইকলেকটাস প্যারোট পাখি উদ্ধার করা হয়।
শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার হওয়া ২টি টোকান পাখীর মূল্য ৩০ লাখ ও ইকলেকটাস পাখির মূল্য ১ লাখ টাকা।
রোববার বিকেলে র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান।
গত ১৪ জুন নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থেকে ২টি চিতা বাঘসহ বণ্যপ্রাণী পাচারকারী চক্রের সদস্য আরিফুল ইসলাম ও শওকত ইমরান ওরফে মিঠুকে আটক করা হয়। তারা তারিকুল ইসলাম নামে একজনের কথা জানায়। এরপর ১ নভেম্বর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তারিকুলকে আটক করা হয়। তারিকুল আদালতে দেয়া ১৬৪ধারায় জবানবন্দীতে আন্তর্জাতিক বণ্যপ্রাণী পাচার চক্রের অনেকের নাম জানায়। তার দেয়া তথ্যে এ ৪ জনকে আটক করা হয়।
জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পাচারকারী চক্র বিদেশ থেক পশুপাখি আমদানি করার আড়ালে সিএন্ডএফ এজেন্টেদের সঙ্গে মিলে আমদানী নিষিদ্ধ বিরল প্রজাতির পশুপাখি আমদানী করে। পরে পাশের দেশগুলোতে পাচার করে। গত ৮ মে যশোর থেকে উদ্ধার করা ৯টি জেব্রা সিএন্ডএফ এজেন্ট গ্রেফতার রফিরেক সহায়তায় বিমানবন্দর থেকে ছাড় করিয়েছিল এ চক্র।
তিনি আরো জানান, উদ্ধার করা ২টি টোকান পাখি ও ১টি ইকলেকটাস পাখি সংরক্ষণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক গাজীপুরে হস্থাান্তর করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :