তরিকুল ইসলাম : যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার দায়িত্বভার গ্রহণ করতে আজ ঢাকা এসেছেন। তাকে বহনকারী বিমানটি বিকেল পাঁচটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতারণ করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকাস অনুবিভাগের মহাপরিচালক এবং মার্কিন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সসহ সরকার ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা এসময় তাকে স্বাগত জানান।
সর্বশেষ বতসোয়ানায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী মিলার বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নিকট পরিচয়পত্র পেশ করবেন মিলার। প্রথা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। শপথ অনুষ্ঠানে সদ্য সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট এবং তারও আগে ঢাকায় দায়িত্বপালনকারী বহুল আলোচিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৭ জুলাই এই কূটনীতিকের নাম মনোনয়ন দেন। তারই ধারাবাহিকতায় মিলারের মনোনয়নের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটে অনুমোদনের বিষয়টি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বতসোয়ানায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে মিলার ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে কনস্যুল জেনারেল ছিলেন। তিনি নয়াদিল্লি, বাগদাদ ও জাকার্তায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি মিশনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করাসহ কূটনীতিক নিরাপত্তা সেবা বিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন মিলার। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মিলার যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন সেনা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং ইউনাইটেড স্টেটস মেরিন কর্পস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
মিলার স্টেট ডিপার্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর হিরোইজমসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। সামরিক বাহিনীর একাধিক পুরুস্কারেও ভূষিত হয়েছেন। ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ ও ইন্দোনেশীয় ভাষায় বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন মিলার অবশেষে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগেই যোগদান করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :