ফরহাদ আমিন, টেকনাফ (কক্সবাজার) : কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ফরিদ আলম ওরফে ডাকাত আলম (৪০) নিহত হয়েছেন। এসময় অস্ত্র, কার্তুজ ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয় এবং তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। নিহত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী হচ্ছেন টেকনাফ সদর ইউপিস্থ লেঙ্গুর বিল এলাকার আবদুল খাদের ওরফে পেরান খাদেরের ছেলে ফরিদ আলম ওরফে ডাকাত আলম (৪০)।
আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন,এসআই ওহিদ, কন্সেটেবল রুবেল শরর্মা ও সেকান্দার। জানা যায় রবিবার (১৮ নভেম্বর)ভোরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লেঙ্গুরবিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তি দক্ষিণ লেঙ্গুরবিল এলাকার আব্দুল খাদের ওরফে পেরান খাদেরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্রসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। তিনি তালিকাভুক্ত শীর্ষ ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী এবং বহুল আলোচিত রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের সহযোগি।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস। তিনি বলেন, শনিবার সকালে ছয় মামলার আসামি অবস্থানের খবর ফেয়ে পুলিশের একটি দল সকালে টেকনাফের দক্ষিণ লেঙ্গুরবিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে ফরিদ আলম ওরফে ডাকাত আলম (৪০) আটক করে। পরে ব্যাপক জ্ঞীসাবাদে স্বীকার করে তার নেতৃত্বে ভুলু মাঝি নামে এক বাহিনী মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবা চালান এনে ওই এলাকায় দিয়ে খালাস করেছিল।
তারই সুত্রে ধরেই আটককৃতকে নিয়ে সেখানে অভিযানে গেলে ভুলু বাহিনী পুলিশকে লক্ষ্যে করে গুলি বর্ষণ করে ডাকাত আলমকে ছিনিয়ে নেওয়া চেষ্টা করে। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ২৫ রাউন্ড গুলি চালায়। এসময় হামলাকারীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ডাকাত আলমকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্যাকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় আহত তিন পুলিশ সদস্যকে স্বাস্থ্যাকমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ১টি বন্দুক, ৫ রাউন্ড কার্তুজ ও ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর স্বাস্থ্যাকমপ্লেক্সে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :