ডেস্ক রিপোর্ট: মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির সাবেক এমপি এমএম শাহীন বলেছেন, আমি বিএনপির জন্য নিবেদিত ছিলাম, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলাম, বিএনপি থেকে আমার প্রতি ন্যূনতম সম্মানও দেয়া হয়নি। সে কারণে বিএনপি ছেড়ে আমি বিকল্পধারায় যোগ দিয়েছি। শনিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক দৈনিক পত্রিকায় সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।
গত বৃহস্পতিবার বিএনপির সাবেক এমপি শাহীন ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দল বিকল্প ধারায় যোগ দেন। দলে যোগ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে জরুরি সভায় তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে ঘোষণা করেন দলের চেয়ারম্যান বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের নিষ্ক্রিয়, সংস্কারপন্থী ও বহিষ্কৃতদের যখন বিএনপি ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে আসছে; ঠিক সেই মুহূর্তে তিনি কেন বিএনপির বাইরে বিকল্পধারায় যোগ দিলেন। এমএম শাহীন বলেন, আজকে বিভিন্ন দলছুট যাদের জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই, এমন সব নেতাদের নিয়ে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে। সেই ঐক্যফ্রন্টের অধীনে নির্বাচনে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের মত জনসম্পৃক্ত নেতাদের নির্বাচনে মনোনয়ন না দিয়ে জনসমর্থনহীন মানুষকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী করার পাঁয়তারা করছে। মনে রাখতে হবে অতীতে সামান্য ফুটবল মার্কা নিয়ে আমি হেভিওয়েট নেতা হিসেবে পরিচিত প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছিলাম। বিএনপি ছাড়ার এটাও অন্যতম কারণ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’ মার্কায়ও ভোট করতে নিজের কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে এমএম শাহীন বলেন, আমি বিকল্প ধারায় যোগ দিয়েছি। বিকল্পধারা মহাজোটের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমার দল যদি সিদ্ধান্ত নেয় নৌকা মার্কায় নির্বাচন করবে, তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি নৌকা মার্কায়ই নির্বাচন করতে প্রস্তুত।
ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএম শাহীন দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ফুটবল প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের তৎকালীন হেভিওয়েট নেতা ও বর্তমান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সূত্র: জাগরণ
আপনার মতামত লিখুন :