শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০১৮, ০৫:১২ সকাল
আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০১৮, ০৫:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে মান্নার বিরোধ

বাংলাদেশ জার্নাল : আগামী ৩০ ডিসেম্বরের ভোটকে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ২০ দলের মধ্যে আসন সমঝোতা এখনও হয়নি। আর দুই জোটের কোনো দলের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট করে কোনো আসনের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছেও বক্তব্য দেয়া হচ্ছে না। এরই মধ্যে নিজ দল নাগরিক ঐক্যের ৩৫ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন মাহমুদুর রহমান মান্না।

সূত্র জানায়, মনোনয়ন নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন মান্না। মূলত নিজ দলের জন্য আসন বরাদ্দ নিয়েই এই অনৈক্য। সূত্র জানায় মনোনয়ন নিয়ে এই ঝামেলার কারণেই ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনা না করে মোট ৩৫টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।

শনিবার নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার স্বাক্ষরিত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে গণমাধ্যমে। এই তালিকা অনুযায়ী সংগঠনের প্রধান মাহমুদুর রহমান মান্না লড়বেন বগুড়া-২ আসনে।

প্রার্থিতার বিষয়ে জানতে চাইলে মান্না বলেন, ‘আমি বগুড়া-২ আসনে জনগণের কাছে যে রিপোর্ট পেয়েছি, আমি এ আসন থেকে নির্বাচন করায় তারা অখুশি নয় বরং খুশি হয়েছে।’

জোটের কোনো দলের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট করে কোনো আসনের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছেও বক্তব্য দেয়া হচ্ছে না। এর মধ্যে নাগরিক ঐক্যের প্রার্থিতার ঘোষণা জোটে কোনো সমস্যা তৈরি করবে কি না- এই প্রশ্ন করার পর মান্না ফোনটি কেটে দেন।

তালিকা অনুযায়ী সংগঠনের প্রধান মাহমুদুর রহমান মান্না লড়বেন বগুড়া-২ আসনে। এই আসন থেকে নাগরিক ঐক্যের নেতা লড়েছেন তিনবার। এর মধ্যে জনতা মুক্তি পার্টির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে হারিয়েছেন জামানত। আর দুইবার আওয়ামী লীগের হয়ে লড়ে বিজয়ী বিএনপির কাছাকাছিও আসতে পারেননি। ১৯৯১ সালে এই আসনে জয়ী জামায়াতে ইসলামী এবার প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে ওই আসনে। তারা মান্নাকে ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

যাদের তালিকা দেয়া হয়েছে তারা হলেন- ফাতেমা ইসলাম নারায়ণগঞ্জ-১, মোবারক হোসেন বাহ্মণাড়িয়া-২, ডা. ফরিদ আহমেদ ব্রাহ্মণাড়িয়া-৩, মোড়ল আসাদুজ্জামান খুলনা -৩, আব্দুর নূর সিরাজগঞ্জ-৫, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ময়মনসিংহ-২, শাহনাজ হক রানু পাবনা-৪, জিয়াউল হক সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫, ইকবাল কবির কুমিল্লা-২, নঈম জাহাঙ্গীর জামালপুর-৩, মোফাখখারুল ইসলাম নবাব রংপুর-৫, মো. সাদাকাত খান ফাক্কু ঢাকা-১৬, খায়রুল বশর মজুমদার ফেনী-১, ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী কুমিল্লা-৫, তফাজ্জল হোসেন কিশোরগঞ্জ-৫, আমিনুল ইসলাম বাদশা কুমিল্লা-১১, জিল্লুর আহমেদ চৌধুরী দিপু সিলেট-৬, জে এম নুরুর রহমান বরিশাল-৪, অ্যাডভোকেট ফজলুল হক সরকার চাঁদপুর-৩, আনিসুর রহমান খসরু ঢাকা-১১, মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান নেত্রকোণা-২, ডা. নাজিম উদ্দিন আহমেদ গাজীপুর-২, দিদারুল আলম বাবুল বাগেরহাট-৩, মমিনুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর-১, অ্যাডভোকেট ড. রবিউল ইসলাম সাতক্ষীরা-২, মিয়া শহিদ হোসাইন নোয়াখালী-১, এসএম আকরাম নারায়ণগঞ্জ-৫, মোস্তফা জাফর হায়দার রংপুর-৪, গোলাম আনোয়ার হোসেন চৌধুরী গাজীপুর-৫, মো. মেরাজুল ইসলাম স্বপন সিরাজগঞ্জ-৬, সৈয়দ হারুন অর রশীদ টাঙ্গাইল-৫, শাহ মো. রহমতউল্লাহ রংপুর-১, আবু হানিফ হৃদয় নারায়ণগঞ্জ-৩, শহীদুল্লাহ কায়সার চাঁদপুর-১।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়