এস এম নূর মোহাম্মদ : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ১৪ সালে বলা হয়েছিল এটি নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। দ্রুত সময়ের মধ্যে আবারও সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করা হবে। পরে বিষয়টি যখন কোর্টে আসলো অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে আদালত আমাকে ডাকলো। আদালত জিজ্ঞেস করলো আপনি কীভাবে বিষয়টি মূল্যায়ন করেন। আমি বললাম, মূল্যায়ন করলে তো দুই মিনিটেই বলা যায় যে, এটা কোনো নির্বাচনই ছিল না। আরেকটা নির্বাচন করতে হবে। সরকারের পক্ষের লোকই সেখানে বলেছিল দ্রুত আরেকটা নির্বাচন করবে। কিন্ত দ্রুত মানে কি পাঁচ বছর?
শনিবার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত আইনজীবীদের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে কামাল হোসেন বলেন, সরকার সংবিধানের কথা বললে আমার হাসি পায়। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকাই অসাংবিধানিক। দিনে-রাতে নিজেরা সংবিধান লঙ্ঘন করছে। আর আমাদের সংবিধান দেখাচ্ছে। ৫ বছর চললো কিভাবে? ১৫৪ জনকে সংসদ সদস্য বলা যাবে না। এরা মনোনীত প্রার্থী। তাদের কে নির্বাচিত করেছে? এরা এমপি বলে পরিচয় দেয়। তাদের লজ্জা হওয়া উচিৎ। তারা মানুষ আছে, না অন্য কিছু হয়ে গেছে। দোয়া করি লজ্জাবোধ যেন তাদের মাঝে ফিরে আসে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ছাড়াই ১৫৪ জনকে সংসদ সদস্য করা হলো। এ নিয়ে আবার গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছে। আমি মনে করি এই গেজেট করে তারা প্রেসের কাগজ নষ্ট করেছে। এতে জনগণের টাকার অপচয় হয়েছে।
কামাল হোসেন বলেন, এবার নির্বাচনে দুই কোটি তরুণ ভোটার। এরাই দেশের মালিক। নির্বাচনকে ঘিরে গুন্ডা পান্ডা থাকবে, তবু আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ঘরে ঘরে মানুষকে গিয়ে বোঝাতে হবে। সেইসঙ্গে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ এবং সচেতন থাকার আহŸান জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :