শামসুজ্জোহা পলাশ, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা সততা নাসিং হোমে ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী জাহানারা খাতুন (১০) এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করতে গিয়ে ডাক্তারের ভুল অপারেশনে ৭ দিন পর মাথায় মারা গেছে। শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে রাজশাহী মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। জাহানারা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর কানাইডাঙ্গা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী জাহানারা খাতুনের পেটে যন্ত্রনা শুরু হলে কার্পাসডাঙ্গা সততা নাসিং হোমে নেওয়া হয়। পেটে যন্ত্রনার কথা শুনে নাসিং হোম কর্তৃপক্ষ একটা বলেন, এটা এপেন্ডিসাইটিসের ব্যাথা এখনই অপারেশন করাতে হবে না হলে বড় সমস্যা হয়ে যাবে। এসময় দিনমজুর জাহানারার পরিবারের লোকজন অপারেশনের ব্যবস্থা করতে বলেন।
নাসিং হোম কর্তৃপক্ষ দ্রুত ডাক্তার আবদুল্লা আল মামুনকে সংবাদ দিয়ে ডেকে আনেন। ডাক্তার মামুন ১০ নভেম্বর শনিবার সন্ধায় কার্পাসডাঙ্গা সততা নাসিং হোমে উপস্থিত হয়ে জাহানারার এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করে চলে যান। অপারেশনের পর জাহানারা সুস্থ না হয়ে ক্রমান্বয়ে আরও বেশী অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় ৪ দিনের মাথায় ১৪ নভেম্বর নাসিং হোম কর্তৃপক্ষ জাহানারাকে রিলিজ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
বাড়ি যাওয়ার পর সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে সততা নাসিং হোমের পরামর্শে পরিবারের লোকজন তাকে ১৬ নভেম্বর শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে জাহানারার অবস্থা আরও অবনতি হলে সদর হাসপাতাল থেকে তাকে রাজশাহী মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে রেফর করেন। শনিবার সকাল ১১ টার দিকে জাহানারাকে রাজশাহী নেওয়ার পথে দুপুর ১২ টার দিকে সে মারা যায়।
এ বিষয়ে ডা. আবদুল্লা আল মামুন বলেন, মেয়েটির ব্রেনে ইনফেকশনের জন্য মারা গেছে। তার মারা যাওয়ার সাথে এপেন্ডিসাইটিস অপারেশেনের কোন সম্পর্ক নেই।
পরিবারের অভিযোগ ডাক্তার আবদুল্লা আল মামুনের ভুল অপারেশনের কারণে শিশু জাহানারাকে অকালে প্রাণ দিতে হলো।
আপনার মতামত লিখুন :