শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০১৮, ০১:২১ রাত
আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০১৮, ০১:২১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শাহজালালে আবারো ধরা পড়লো নতুন মাদক এনপিএসের চালান

সুজন কৈরী : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবারো ৮৬৮কেজি নিউ সাইকোট্রপিক সাবসটেন্সেস (এনপিএস) তথা খাত নামে পরিচিত নতুন মাদক জব্দ করা হয়েছে। শনিবার সকালে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যরা ফরেন পোস্ট অফিস থেকে এসব মাদক জব্দ করেন। এটি শাহজালালে জব্দ করা এই মাদকের ৭ম চালান। যা পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে শাহজালাল বিমানবন্দর, পোস্ট অফিস ও রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে এই মাদকের পরপর কয়েকটি চালান জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েকজনকে। এরপর মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবারো আসলো মাদকের চালানটি।

বিমানবন্দর ও ডিএনসি সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে (এআই-২৩০) ইথিওপিয়া থেকে ৪৯টি সন্দেহজনক কার্টন আসে। ঢাকা কাস্টমস হাউজ ও এনএসআইয়ের কর্মকর্তারা কার্টনগুলো আটকের পর পর্যবেক্ষণে রাখেন। শনিবার ডিএনসিসহ বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে কার্টনগুলো খোলা হয়। পরে সেখান থেকে ৮৬৮কেজি গ্রীন টির মত দেখতে ইথিওপিয়ান গাঁজা বা খাট উদ্ধার করা হয়। ইথিওপিয়া থেকে পাঠানো মাদকের এ চালান কলাকাতা হয়ে ঢাকায় পৌঁছায়। এর আগে এমন চালান আসলেও এবারই প্রথম কলাকাতা দিয়ে পাঠানো হয়।

সূত্র জানায়, চালানের গায়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নাম উল্লেখ রয়েছে। এগুলো হলো- তুরাগের এশা এন্টারপ্রাইজ, রাজধানীর শান্তিনগরের নওশিন এন্টারপ্রাইজ, তেজগাঁও এলাকার সেনিন এন্টারপ্রাইজ, যাত্রাবাড়ীর এমডি মামুন, চট্টগ্রামের কে এম জেড আনোয়ার সিদ্দিক, চট্টগ্রামের ফরিকহাটের এমডি মোয়াজ্জেম হোসেন। এর মধ্যে নওশিন ও সেনিন এন্টাপ্রাইজের নামে এর আগেও এই মাদকের চালান এসেছে। এই দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক গ্রেফতারের পর কারান্তরীণ রয়েছেন। চালানটির রপ্তানীকারক ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবার তেসফায়ে আসিফা।

ডিএনসির অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা) নজরুল শিকদার জানান, এ মাদক পানির সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করা যায়। সেবনের পর মানবদেহে এক ধরণের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। যা অনেকটা ইয়াবার মত প্রতিক্রিয়া হয়। এটি বাংলাদেশে আসা নতুন ধরণের মাদক। এটি শাহজালালে আটক করা এ মাদকের ৭ম চালান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়