তরিকুল ইসলাম : বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। সংবাদ মাধ্যম, শিক্ষার্থী, মানবাধিকার কর্মী ও বিরোধী রাজনীতিকদের ওপর চলমান দমন-পীড়নের কঠোর সমালোচনা করেছে ইইউ পার্লামেন্ট। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে গঠনমূলক ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।
বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বিতর্ক শেষে নেয়া প্রস্তাবে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। প্রস্তাবে সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান ও মীর কাশেম আলীর আইনজীবী গুমের ঘটনাসহ বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বির্তকের অংশ নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ডেলিগেশন প্রধান জ্যঁ লিমবার্ড বলেন, সন্ত্রাসবাদের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি মানবাধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। বাংলাদেশে অব্যাহত গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড এবং কঠোর আইন প্রণয়নের বর্তমান ধারাতে আমি উদ্বিগ্ন। সব দলের অংশগ্রহনে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করছি, যাতে বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন থাকবে।
সুইডেনের সুরাইয়া পোস্ট বলেন, বাংলাদেশকে অবশ্যই সংবাদমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে আটক সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও ছাত্রদের মুক্তি দিতে হবে। নেদারল্যান্ডের মারিটজি বলেন, ফটো সাংবাদিক শহীদুল আলমের আটকের বিষয়টি বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী। তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র নিপীড়িত ব্যক্তি নন। হয়রানি, আটক ও গুমের একটি পদ্ধতি বাংলাদেশে চালু রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :