শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:১০ দুপুর
আপডেট : ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:১০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৭৩-এর পর যে আসনে নৌকা জেতেনি!

রবিন আকরাম : সারাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইছে। নির্বাচনে কে পাবেন কোন দলের মনোনয়ন তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সবার নজর বড় দুই দলের দিকে। কে হবেন নৌকার মাঝি আর কে হবেন ধানের শীষের কর্নধার সেই আলোচনা এখন দেশের প্রতিটি এলাকার মানুষের মুখে মুখে। চেয়ে আছেন সেই কাঙ্খিত দলীয় মনোনিত ব্যক্তিদের নাম শোনার জন্য।

আর দলীয় মনোনয়ন নেওয়ার জন্য এলাকার সব মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা ঢাকায় দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া এবং দলের নীতি নির্ধারক নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে ধর্না দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এরিমধ্যে বগুড়া-২ আসনে মনোনয়নপত্র কিনেছেন আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক আয়শা খাতুন, জেলা সদস্য আবুল কাশেম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান, সদস্য আকরাম হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ ওয়ালী মোকারম চৌধুরী, জেলা যুবলীগ নেতা মোবাশ্বার হোসেন, জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি আবদুল মোত্তালেব ও আবদুল করিম এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য উজ্জল প্রসাদ কানু।

অন্যদিকে বগুড়া-২ আসনে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলম, সাবেক এমপি একেএম হাফিজুর রহমান, সাবেক এমপি অধ্যক্ষ নুর আফরোজ বেগম জ্যোতি ও বিএনপি নেতা এমআর ইসলাম স্বাধীন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এমপি ও শিবগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান। এবং ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

এই আসনটিতে বিএনপি জয়ী হওয়াকে এগিয়ে রাখছেন রাজনৈতিকি বিশ্লেষকরা। কারণ ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচনের পর আর কখনো এখানে ‘নৌকা’ জেতেনি। গত নির্বাচনে জাপার শরিফুল ইসলাম মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ হন। ২০০৮ সালে বিএনপির এ কে এম হাফিজুর রহমানের কাছে ৪৫ হাজার ৮৭১ ভোটে হেরেছিলেন তিনি। ২০০১ সালে জয় পান বিএনপির রেজাউল বারী। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মাহমুদুর রহমান ৪৭ হাজার ৮১৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন। এ আসনে বর্তমানে ভোটার ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪০৯।

এই আসনটি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে দ্বন্দ্ব অনেক দিনের। এবারও দুই সাবেক সাংসদ বিএনপির হাফিজুর রহমান ও জামায়াতের মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান প্রার্থী হতে চান। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন। ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার আসনও এটি।

ডাকসুর সাবেক ভিপি মান্না’ ৯১ থেকে তিনবার এ আসনে নির্বাচন করেছেন। প্রথমবার জনতা মুক্তি পার্টির হয়ে, পরের দুবার ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। জিততে পারেননি একবারও। তবে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হলে বিএনপি–জামায়াতের সমর্থন কাজে লাগিয়ে আগামী নির্বাচনে এগিয়ে থাকবেন তিনি। প্রথম অালো, যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়