শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ০৬:৪৮ সকাল
আপডেট : ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ০৬:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি, কার হাতে ধানের শীষ !

অনলাইন ডেস্ক : সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এমন খবরে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে ফরিদপুর-১ আসনে। সাধারণ ভোটররা মনে করছেন, এ কারণে দলের প্রার্থিতায়ও আসতে পারে চমক। সব দলই জনপ্রিয় এবং ক্লিন ইমেজের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে পারে। তবে নির্বাচনী এলাকার সব স্থানে আলোচনা, কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি ? কাকে দেওয়া হচ্ছে ধানের শীষ ?

আওয়ামী লীগের মনোনয়নয় ফরম জমা শেষে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আমলনামা এখন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার টেবিলে। বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলছে। বর্তমান সরকারি দল আওয়ামী লীগ থেকে ফরিদপুর-১ (মধুখালী-আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী) আসনে ২২ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তাদের মধ্যে ২০ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে আলোচনায় আছেন মাত্র ৫-৬ জন। অপরদিকে বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন সাতজন, আর জাতীয় পার্টি (এ) থেকে দুইজন।

এ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যারা মনোনয়ন ফরম কিনেছেন, তারা হলেন-দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান এমপি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি সাবেক এমপি কাজী সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আরিফুর রহমান দোলন, কেন্দ্রীয় শ্রমীক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব মনজুর হোসেন বুলবুল, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. লিয়াকত শিকদার, হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীলিপ রায়, ফরিদপুর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সৈয়দ কবিরুল আলম মাও, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম জালাল উদ্দিন, দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি লায়ন মো. শাখাওয়াত হোসেন, তিতাস গ্যাস লিমিটেডের পরিচালক ও ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান মঈনুল ইসলাম মোস্তাক, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমএ কামরুল হাসান খান আসলাম, ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য ও মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মির্জা আহসানুজ্জামান আজাউল, শ্রমিক নেতা খান সিরাজ, মেগচামী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা খুরশীদুল আলম, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন, ওয়ালিদ হাসান মামুন, মাজহারুল ইসলাম ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।

আওয়ামী লীগের ২২ মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বর্তমান এমপি আব্দুর রহমান সম্প্রতি মধুখালী ও বোয়ালমারীতে জনসমাবেশ ও শোডাউন করে তার মনোনয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরেছেন। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে মনোনয়নপ্রত্যাশী চার প্রার্থী ঐক্যবদ্ধ হয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তার দিকে। আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধপক্ষ মনে করছেন, নৌকার বিজয় ধরে রাখতে প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে। অন্যদিকে আব্দুর রহমানের সমর্থকরা বলছেন, বর্তমান এমপি অনেক উন্নয়ন করেছেন। তিনিই হবেন নৌকার মাঝি।

মনোনয়ন প্রাপ্তি দৌড়ে সাবেক এমপি কাজী সিরাজুল ইসলাম সম্প্রতি বিশাল মোটর শোভাযাত্রাসহ গণসংযোগ, প্রাতঃভ্রমণ করে সরকারের উন্নয়ন প্রচার করেছেন। ভোটারদের মধ্যে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। দুইবারের এমপি থাকাকালে তিনিও ব্যাপক উন্নয়ন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তার নির্বাচনী একলাকায়। এছাড়াও আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আরিফুর রহমান দোলন। সাধারণ মানুষের আলোচনায় ঘুরে ফিরে এই তিন নেতার নামই আসছে বেশি।

এ ছাড়াও বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএম মোশাররফ হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন বুলবুল ও তিতাস গ্যাসের পরিচালক খান মইনুল ইসলাম মোস্তাক আলোচনায় রয়েছেন। ডা. দীলিপ রায়, লায়ন সাখাওয়াত হোসেন বিভিন্ন সময় শুভেচ্ছা পোস্টার লাগিয়ে এমপি প্রার্থীর পরিচয় পেলেও অন্যদের নির্বাচনী এলাকার জনগণ তেমন একটা চেনেন না। মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আগে কখনো তাদের নাম শোনা যায়নি। কোনো কর্মকাণ্ডেও তাদের দেখা যায়নি।

অপরদিকে বিএনপির সাত প্রার্থী ফরিদপুর-১ আসন থেকে ধানের শীষ পেতে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে। তারা হলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনিবাহী সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. আবু জাফর, সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মৃধা মনির, কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. শরিফুল ইসলাম, বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুজ্জামান ঝুনু, বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হাসান সালেহ প্রিন্স ও মো. হাসিবুর রহমান দ্বীপ ।

জাতীয় পার্টি (এ) দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন জাপার কেন্দ্রীয় সহপ্রচার সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান খান ও নির্বাহী সদস্য মো. কামরুজ্জামান মৃধা।
বড় দুটি দলে প্রার্থী জটে দলীয় নেতাকর্মীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বের রয়েছেন। তবে কে পাচ্ছেন ধানের শীষ, আর কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি, এ প্রশ্নের সঠিক জবাব পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক দিন। আর সাধারণ ভোটাররাও অপেক্ষায় আছেন, শেষ পর্যন্ত কে কে প্রার্থী হচ্ছেন। হিসাব কষছেন কাকে ভোট দিলে তাদের এবং এলাকার উন্নয়ন হবে। সূত্র : দৈনিক আমাদেরসময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়