ডেস্ক রিপোর্ট : একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর আসন ভাগাভাগির বিষয়টি এবার সংখ্যার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি হচ্ছে না। প্রার্থীর জয়ের মোটামুটি নিশ্চিত সম্ভাবনাকে ভিত্তি ধরেই আসন বণ্টন হবে। বিএনপির নীতিনির্ধারক নেতাদের পাশাপাশি ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছে।
সর্বশেষ গত ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকেও আসন বণ্টনের এমন ‘ভিত্তি’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কালের কণ্ঠকে বলেন, আসন বণ্টন নিয়ে জোট বা ফ্রন্টের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, বিএনপি কতটা ছাড়বে বা তারা কতটা চায়—এটি কোনো ভিত্তি নয়। ভিত্তি হবে প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা কতটুকু। তিনি আরো বলেন, আসন বণ্টন নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনই এখন সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, আসনসংখ্যা নয়।
বিএনপি এবার একই সঙ্গে দুটি ভিন্ন জোটভুক্ত দল। আগে থেকেই দলটি ২০ দলীয় জোটের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। অন্যদিকে গত মাসে বিএনপিকে নিয়ে গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য মিলে গঠন করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ফ্রন্টে পরে যোগ দিয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি দলটির প্রতীকে প্রার্থী দেওয়ার কথাও জানিয়েছে।
অন্যদিকে ২০ দলীয় জোটে নতুন করে আরো কয়েকটি দল যোগ হয়েছে। এই জোটে বিএনপির পর বড় শরিক দল হলো জামায়াতে ইসলামী।
এর আগে ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে জামায়াতকে ৩১, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিকে (বিজেপি) ৭ এবং তৎকালীন ইসলামী ঐক্যজোটকে ছয়টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি। আর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে চারদলীয় জোট শরিকদের বিএনপি ছাড়ে মোট ৪১টি আসন; যার মধ্যে জামায়াত ৩৫, বিজেপি ২, ইসলামী ঐক্যজোট ২ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ২টি আসন দেওয়া হয়েছিল।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট।
জানা গেছে, এবারের প্রাথমিক খসড়া তালিকায় ইসলামী ঐক্যজোটের জন্য এখনো আসন রাখা হয়নি। তবে জমিয়তের জন্য একটি আসন রাখা হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ৩০টি আসনের একটি তালিকা সম্প্রতি বিএনপির কাছে দিয়েছে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। কিন্তু সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় সম্ভাব্য প্রার্থীদের গত বৃহস্পতিবার দলটির সভাপতি অলি আহমদ বলেছেন, হাস্যকর কোনো দর-কষাকষি বিএনপির সঙ্গে করা যাবে না। শুধু জয়ের সম্ভাবনা আছে—এমন প্রার্থীদের নিয়েই দর-কষাকষি করা হবে। প্রার্থী কেন মনোনয়ন চান এবং তাঁর জয়ের সম্ভাবনা কতটুকু তা লিখিতভাবে জমা দেওয়ার জন্যও তিনি সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্দেশনা দেন। একইভাবে গণফোরামসহ অন্য দলগুলোর পক্ষ থেকেও এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
জানতে চাইলে ২০ দলীয় জোটের প্রধান শীর্ষ নেতা অলি আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আসন বণ্টন, এগুলো কোনো পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির অংশ নয়। যার যেখানে উপযুক্ত প্রার্থী আছে এবং অতীতে ওই সব আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিল তাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। আমি মনে করি, আসন বণ্টন প্রশ্নে বিএনপিকেও শক্ত অবস্থান নিতে হবে।’ সম্প্রতি ২০ দলীয় জোটের বৈঠকেও তিনি এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান এলডিপিপ্রধান অলি।
নবম সংসদ নির্বাচনে ছাড় পাওয়া ৩৫টি আসনের সঙ্গে যোগ করে মোট ৫০টি আসনের তালিকা দু-এক দিন আগে বিএনপির কাছে হস্তান্তর করেছে জামায়াতে ইসলামী। তবে দলটির নায়েবে আমির গোলাম পরোয়ার ওই তালিকা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘আশা করছি, দু-চার দিনের মধ্যেই আসন বণ্টনের বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।’
জানা গেছে, গণফোরাম ২০ থেকে ২৫টি, জেএসডি ১৫টি এবং নাগরিক ঐক্য ৩০টি আসন চেয়ে প্রার্থী তালিকা আজ-কালের মধ্যে বিএনপিকে দেবে।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁদের দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার চলছে। তালিকা এখনো তৈরি হয়নি। তবে আসন বণ্টন নিয়ে সমস্যা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, “ঐক্যফ্রন্টের কোনো দল এবার আসনের জন্য ‘রিজিড’ হবে না।” প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনাই এবার আসন বণ্টনের ভিত্তি হিসেবে ঠিক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘দেশের অবস্থা স্বাধীনতা পরবর্তীকালের সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। ফলে সরকারের বিরুদ্ধে একসঙ্গে সবাইকে লড়াই করতে হবে—এটাই মূল কথা। আসনের সংখ্যা বড় নয়।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা কোনো দলই এবার অযৌক্তিকভাবে আসন নিয়ে দর-কষাকষি করব না। জয়লাভের সম্ভাবনা আছে—এমন প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। আর ভিত্তি এটা হলে বিএনপির জন্যও সুবিধা হবে। ফলে সংখ্যার ভিত্তি এখানে গৌণ।’
বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁর দলের প্রার্থী তালিকা দু-এক দিনের মধ্যেই বিএনপিকে দেওয়া হবে। তাঁর মতে, সংখ্যার ভিত্তিতে নয়, জয়ের সম্ভাবনা দেখেই এবার আসন বণ্টন হবে।
জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আসন বণ্টনের জন্য বিএনপি তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে। এই কমিটিতে রয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খান। এই তিন নেতার সঙ্গে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জেএসডির সভাপতি আ স ম রব এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না থাকবেন বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
২০ দলের সঙ্গে আসন বণ্টনের জন্য কোনো কমিটি না হলেও সংশ্লিষ্ট দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা বিএনপি শুরু করেছে। অবশ্য ওই দলগুলোর বেশির ভাগই তালিকা দিয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার বিএনপির পক্ষ থেকে শরিক দলগুলোকে এসংক্রান্ত একটি আবেদন ফরম দেওয়া হয়েছে, যা পূরণ করে আগ্রহী প্রার্থীদের ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খানের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। ফরমের শুরুতে লেখা রয়েছে ‘২০ দলীয় জোট, গুলশান ঢাকা।’
ফরমে প্রার্থীর নাম-ঠিকানাসহ পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত, ২০ দলীয় জোটে কবে যোগদান এবং বর্তমান অবস্থান কী—এসব জানতে চাওয়ার পাশাপাশি একটি হলফনামা রয়েছে যেখানে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর স্বাক্ষর করতে হবে।
হলফনামায় যা বলা হয়েছে : ক. আমি ২০ দলীয় জোটের আদর্শ ও রাজনীতির প্রতি সদা সর্বদা নিয়োজিত থাকব, মেনে চলব, কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। খ. আমি ২০ দলীয় জোটের সব সিদ্ধান্ত মেনে চলতে বাধ্য থাকব এবং জোট কর্তৃক নির্দেশপ্রাপ্ত হলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য থাকব। গ. জোটের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে জোট পরিবর্তন কিংবা জোট নেতানেত্রীর সম্মতি বা সিদ্ধান্ত ছাড়া নির্দিষ্ট আসন পরিবর্তন বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে সংঘবদ্ধ, জোট গঠন, জোটে যোগদান বা কোয়ালিশনে যাব না বা ফ্লোর ক্রস করব না। এমন কিছু হলে তাত্ক্ষণিকভাবে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে বিবেচিত হবেন। ঘ. আমি ঋণখেলাপি নই এবং বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশের নাগরিক নই। আমি কোনো অবস্থায় বা পদে থাকাকালীন কোনো ধরনের অসত্য বা দুর্নীতির আশ্রয় নেব না।
২০ দলীয় জোটের গুরুত্বপূর্ণ যাঁরা : গতকাল রাতেই এলডিপির ৩৫ জনের একটি প্রার্থী তালিকা বিএনপির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১০ জন প্রার্থীর জন্য বিএনপির সঙ্গে দর-কষাকষি করবে দলটি। তালিকা অনুযায়ী, গুরুত্বপূর্ণ ১০ প্রার্থী হলেন কর্নেল (অব.) অলি আহমদ চট্টগ্রাম-১৪, রেদোয়ান আহমেদ কুমিল্লা-৭, শাহাদাত হোসেন সেলিম লক্ষ্মীপুর-১, আবদুল করিম আব্বাসী নেত্রকোনা-২, আব্দুল্লাহ চাঁদপুর-৩, আবদুল গণি মেহেরপুর-২, মোহাম্মদ নুরুল আলম চট্টগ্রাম-৭, এম ইয়াকুব আলী চট্টগ্রাম-১২, কফিল উদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৬ ও তমিজ উদ্দিন টিটু ঢাকা-৫।
সূত্রের দাবি, এলডিপি যাঁদের নিয়ে দর-কষাকষি করতে চায় তাঁদের মধ্যে প্রথম চারজন ২০ দলীয় জোটের মনোনয়ন পাবেন—এটি মোটামুটি নিশ্চিত।
এ ছাড়া জোটের নেতাদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম চট্টগ্রাম-৫, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ ভোলা-১, জাগপার শফিউল আলম প্রধানের মেয়ে তাসমিয়া প্রধান পঞ্চগড়-২, মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে পিপলস পার্টি অব বাংলাদেশের রীতা রহমান নীলফামারী-১, মাইনরিটি জনতা পার্টির সুকৃতি কুমার মণ্ডলকে যশোর-২ আসনটি ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আলোচনায় যাঁরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিএনপিকে এখনো কোনো তালিকা দেওয়া হয়নি। গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেন নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তে এখনো অটল আছেন। যদিও বিএনপি চাইছে, কামাল নির্বাচন করুন। তাঁর জন্য ঢাকা-১০ আসনটি বিএনপি চিন্তা করে রেখেছে। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে ঝুঁকি থাকলে সে ক্ষেত্রে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য নির্ধারিত ফেনী অথবা বগুড়ার যেকোনো একটি আসন থেকে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। আর এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা-১০ আসনটি গণফোরামের অন্য কোনো নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে বিএনপিতে আলোচনা আছে।
সূত্রমতে, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ঢাকা-২ ও ৩ আসনেই নির্বাচন করতে চান। কিন্তু তিনি কোনটি পাবেন তা নিশ্চিত নয়। কারণ ওই আসন দুটিতে দলটির কোনো সাংগঠনিক শক্তি নেই। বরং বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানউল্লাহ আমান ওই দুই আসনে দলীয় প্রার্থী।
একটি সূত্র বলছে, সমঝোতা হলে সে ক্ষেত্রে মন্টুসহ অনেককে ঢাকা মহানগরের আসন থেকে প্রার্থী করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মন্টুর জন্য ঢাকা-৭ আসনের কথা ভাবা হচ্ছে।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৩ অথবা ১৪ এ দুটি আসনের যেকোনো একটি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার আশা করছেন। কিন্তু ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা অলি আহমদ চট্টগ্রাম-১৪ আসনে প্রার্থী। চট্টগ্রামে সমঝোতা না হলে ঢাকা-৬ আসনে সুব্রত চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা চলছে। ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে মৌলভীবাজার-২ আসন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব লক্ষ্মীপুর-৪, আবদুল মালেক রতন কুমিল্লা-৪, তানিয়া রব ঢাকা-১৭, তৌহিদ হোসেন চুয়াডাঙ্গা-১, মাসুম এম মহসীন ঢাকা-১৮, বেলায়েত হোসেনের জন্য লক্ষ্মীপুর-২ আসনে মনোনয়ন চাইছে দলটি।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ ও ৮-এ দুটি আসনেই মনোনয়ন চাইছেন। কিন্তু বিএনপির সঙ্গে বিষয়টি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বগুড়া-২ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। বিএনপি ছাড় দিলে দলটির উপদেষ্টা এস এম আকরামকে দেওয়া হতে পারে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে।
সূত্র : কালের কন্ঠ
আপনার মতামত লিখুন :