শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:২৫ সকাল
আপডেট : ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্বাচনে জনপ্রত্যাশা মিটবে?

মোতাহার হোসেন : ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮-তে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত তারিখ বহাল আছে। যদিও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন পেছানোর দাবি করেছে। কী হয় এখন দেখার বিষয়।

নির্বাচন যেকোনো দেশেরই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অংশ। সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন শুধু যে গ্রহণযোগ্যতা পায় তা নয়, গণতন্ত্রের সৌন্দর্যও বিকশিত হয়। নিজেদের জনসাধারণের কাছে নিয়ে যাওয়ার বড় উৎসব বলা যেতে পারে নির্বাচনকে। আর সে কারণে এই গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় অংশ নেয়া দেশের সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হিসেবেই বিবেচিত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দেশের সংবিধানের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধাশীল হওয়া বাঞ্চনীয়। কারণ বিগত সময়ে নির্বাচন প্রতিরোধের নামে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি কোনো ভাবেই কাম্য নয়। কোনো ধরনের সহিংসতাও কাম্য নয়। নির্বাচন ঠেকানোর নামে ২০১৩,২০১৪ এবং নির্বাচন -পরবর্তী ২০১৫ সালের দেশে যে আগুণ সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, সহিংসতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, রক্তপাত, মানুষ পুড়িয়ে মারা, রাস্তা কাটা, গাছকাটা,গবাদিপশুবাহি ট্রাক জ্বালিয়ে দেয়া,খাদ্যবাহী ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়া, ট্রেন লাইন উৎপাটন প্রভৃতি। এসব কর্মকা- কোনো সভ্য সমাজে ঘটতে পারে না। আশা করছি এ ধরনের ঘৃণিত কর্মকা-, জনস্বার্থ ও জননিরাপত্তা বিরোধী কর্মকা- থেকে ভবিষ্যতে সকল রাজনৈতিক দল, তাদের সহযোগী সংগঠনসমূহ বিরত থাকবেন। আসন্ন নির্বাচনে যাতে কোনো সুযোগ সন্ধানী, জঙ্গি,সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতিকারী নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য প্রত্যেক দল, তাদের সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রকামী,শান্তিপ্রিয় মানুষ সজাগ - সর্তক থাকবেন।  একই সাথে সদা সর্তক থাকবে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকল গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ। একই সাথে দেশের প্রতিটি থানা এলাকায় দাগী, চিহ্নিত, অপরাধী, খুনি, মাস্তান, সন্ত্রাসী, ইয়াবা ব্যবসায়ী, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী, অপহরণকারীদের তালিকা ধরে তাদের গ্রেফতার করার দ্রুত উদ্যোগ নেয়া জরুরি।

আমরা আশা করবো, সব রাজনৈতিক দল সদিচ্ছা ও সুবিবেচনার পরিচয় দেবে। এতে কেটে যাবে সব রাজনৈতিক সংকট, কেটে যাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা। অবশ্য এ জন্য  নির্বাচন কমিশনকে সবচেয়ে ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা দেখাতে হবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিতে হবে কার্যকর ব্যবস্থা। কোনো ধরনের সহিংসতা ঘটতে দেওয়া যাবে না। বিশেষ করে, সংখ্যালঘুসম্প্রদায়ের নিরাপত্তা যেকোনো মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

সড়ঃধযবৎনফ১২৩@মসধরষ.পড়স

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়