নূর মাজিদ : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর জন্য বিজ্ঞাপনের ব্যবসায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরণের আধুনিক যোগাযোগমাধ্যমের আয়ের একটি বড় অংশ আসে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে। তবে এবার ফেসবুকের ব্যবসায়িক মূল্যবোধ এবং প্রচারণা নীতিকে নৈতিকতাহীন বলেছেন তারা। ফলে বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে ফেসবুকের স¤পর্ক আরও অমসৃণ পথে এগিয়ে গেলো, খবর নিউইয়র্ক টাইমসের। মার্কিন দৈনিকটি গত বৃহ¯পতিবার ফেসবুকের শীর্ষ নির্বাহীদের ওপর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করার প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞাপনদাতাদের মাঝে এমন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্ক জুকারবার্গ এবং শেরিল স্যান্ডবার্গের মতো শীর্ষ ফেসবুক নির্বাহীরা বাণিজ্যিক স্বার্থে বাছবিচার ছাড়াই ঘৃণামূলক পোস্ট ও মার্কিন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলে এমন কার্যক্রমের ব্যাপারে উদাসীন থেকেছেন। তারা চাইলেই এসকল বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারতেন বলেই জানায় নিউইয়র্ক টাইমস। বিশেষ করে, ফেসবুকের বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান শেরিল স্যান্ডবার্গ সমালোচক এবং অধিকার কর্মীদের উদ্বেগ মোটেও আমলে নেননি। তিনি ফেসবুকের বৈশ্বিক কার্যক্রমে জাতিগত ঘৃণামূলক প্রচারণা ছড়িয়ে দেয়ার ব্যাপারে নিরুদ্বেগ ছিলেন। এমনকি সরকারি পর্যায়ে তদ্বিরের মাধ্যমে ফেসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অধিকারকর্মীদের জনরোষের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার চেষ্টা করেন শেরিল।
এই খবরের তীব্র সমালোচনা করে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বিজ্ঞাপনী কো¤পানি পাবলিসিস গ্রুপের প্রধান ব্যবসা সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রিশাদ টোবাকোওয়ালা বলেন, ‘এখন আমরা জানি অর্থ উপার্জনের স্বার্থে ফেসবুক যেকোন কিছু করতে পারে। তাদের কোন নৈতিকতা বোধ নেই।’
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বাজারের অন্যান্য বিনিয়োগকারি এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের মাঝেও উদ্বেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতোপূর্বে তারা ফেসবুকের নৈতিকতাহীন বিজ্ঞাপন নীতি এবং বিদ্বেষমূলক প্রচারের বিষয়ে অসন্তুস্টি প্রকাশও করেছেন। বিশেষ করে কো¤পানিটি যেভাবে ব্যবহারকারীদের তথ্য নিজ স্বার্থে কাজে লাগায় তা নিয়েও প্রতিষ্ঠানটির সমালোচনা করেন তারা। অর্থের লোভে নিজেদের বাণিজ্যিক মূলবোধ হারিয়ে ফেলেছে ফেসবুক বলেই তারা অভিমত প্রকাশ করেছেন। নিউইয়র্ক টাইমস
আপনার মতামত লিখুন :