শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ০১:৫৩ রাত
আপডেট : ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ০১:৫৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাসতে না পারলেও যুগলবন্দী হলেন এ্যালেক্স ও এরিন

রাশিদ রিয়াজ : মাত্র চারবার তাদের দেখা হয়েছে। তারা কখনো হাসতে পারেন না। বিশে^ মাত্র ১ হাজার মানুষ এধরনের বিরল রোগে আক্রান্ত। তারা কখনোই হাসতে পারেন না। এ্যালেক্স ও এরিন তাদেরই মত। জন্মগতভাবেই তারা এমন ত্রুটি নিয়ে জন্মেছেন যে তারা কখনো হাসতে পারেন না। তাদের মুখের কোনো অভিব্যক্তি প্রকাশের ক্ষমতা নেই। দি সান
যুক্তরাষ্ট্রের কভেন্ট্রি এলাকায় থাকেন ৪৫ বছরের এ্যালেক্স বার্কার ও নর্থ ক্যারোলিনায় থাকেন ৩৮ বছরের এরিন স্মিথ। চিকিৎসকদের ভাষায় মোয়েবিয়াস সিনড্রোমে আক্রান্ত তারা। তাদের কারনিয়াল নার্ভ অবশ হয়ে যাওয়ার কারণে হাসি বা অভিব্যক্তি প্রকাশের কোনো ক্ষমতা নেই। একই কারণে তারা চোখের নড়ন চড়ন করতে পারেন না। স্থির চোখে তাকান। কথা বলার সময় তাই। ব্রিটেনে এধরনের মানুষের সংখ্যা আড়াই’শ। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ্যালেক্স ও এরিনের মাত্র ৪ বার দেখা হওয়ার পর তারা পরস্পরকে ভালবাসতে শুরু করেন।

এ্যালেক্স বলেন, কোনো মানুষ আমার সঙ্গে হাসিমুখে পরিচিত হওয়ার পরই অবাক হন বা ঘাবড়ে যান কেন আমি তাকে হাসিমুখে স্বাগত জানাচ্ছি না। কিন্তু আমি সত্যি সত্যি হাসতে পারিনা। আবেগতাড়িত হতেও পারি না। এজন্যে আমাকে দিনের পর দিন তিরস্কার সইতে হয়েছে। আমার সব বন্ধুর বান্ধবী রয়েছে কিন্তু আমার বান্ধবী হতে কেউ রাজি হয়নি। আমার জন্যে ডেটিং সবসময় খুবই কঠিন ছিল। এমনকি ডেটিং সাইটে গিয়ে নিজেকে উপস্থাপন করলেও হাসতে পারি না বলে কোনো সম্পর্ক শুরু হতে পারেনি।

কিন্তু এরিনের সঙ্গে পরিচয় হবার পর সবকিছু পাল্টে যায়। কারণ আমরা একই রোগে আক্রান্ত। আমরা পরস্পরকে বুঝতে পারি। এবং প্রচ- ভালবাসি। আমরা চোখের ভাষায় কথা বলি। আমরা সুখী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়