সাইদ রিপন : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবির প্রেক্ষিতেও জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানো সম্ভব নয় বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাপতিত্বে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
ইসি সচিব বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের তিন সপ্তাহ নির্বাচন পেছানোর দাবি চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের পর নির্বাচন পেছানো ইসির কাছে যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত এবং বাস্তবসম্মত না হওয়ায় নির্বাচন পেছানের আর কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন আর পেছাবে না। সেনাবাহিনী মোতায়েন সম্পর্কে তিনি বলেন, সকালে আমি বলেছিলাম ২ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেনাবাহিনী নামবে। আসলে আমি বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছিলাম, সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তারারা সেনাবাহিনীর জন্য ১০ দিন আগে থেকে তাদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করবেন। তবে নির্বাচন কবে কখন কীভাবে সেনা মোতায়েন করা হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, গতকাল ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ কমিশনে এসে বেশ কিছু দাবি উপস্থাপন করেছে। আজকে নির্বাচন কমিশন তাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করেছেন এবং নিজেদের ভেতরে বৈঠক করেছেন। বৈঠক করে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, জানুয়ারি মাসে বেশ কয়েকটি আইনী ও সাংবিধানিক বিষয় আছে। যা হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে কাজগুলো করতে হবে । যেমন যদি পুননির্বাচন করতে হয়, উপনির্বাচন করতে হয়, নির্বাচনে অনিয়ম হলে তদন্ত করা, গেজেড প্রকাশ করা, নব নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ ইত্যাদি। এছাড়া বিশ্ব ইজতেমা জানুয়ারি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ ধর্ম প্রাণ মুসল্লি অংশ নিয়ে থাকেন এবং লক্ষাধিক আইন শৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন থাকেন। সবদিক বিবেচনা করে এবং চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ৩০ ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন পেছানোর ইসির কাছে যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত এবং বাস্তবসম্মত না হওয়ায় নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই।
সচিব বলেন, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক নয়, আমরা এদেশের নাগরিক যে ১০ কোটি ৪১ লাখ ভোটার তাদের বিষয়গুলো আগে বিবেচনা করব। তবে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সবসময় আমরা স্বাগত জানাই। সম্পাদনা: হুমায়ুন কবির খোকন
আপনার মতামত লিখুন :