আক্তারুজ্জামান : ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে প্রত্যেক দল তাদের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে মনোনয়ন ফরম বিক্রিও প্রায় শেষের দিকে। মনোনয়ন কেনার তালিকাটা অনেক বড় হলেও আলোচিত ব্যক্তিত্বের তালিকাটা খুব বেশি বড় না।
সেই ছোট তালিকার অন্যতম নাম বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মামরাফি বিন মর্তুজা। খুবই আলোচনা-সমালোচনা ছিল এই তারকার রাজনীতিতে প্রবেশের বিষয় নিয়ে। সবাই বিভিন্ন কথা বললেও অফিসিয়াল একটা অনুমতি তো লাগে! সেই অনুমতিই আজ মাশরাফিকে দিয়ে দিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বৃস্পতিবার জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে শেষ টেস্টে ২১৮ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেখানেই তিনি মাশরাফিকে রাজনীতিতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন। অনুমতি এই অর্থে যে, মাশরাফি এখনো বোর্ডের চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার। এখনো অবসর নেননি। দলে অন্তর্ভুক্ত থাকাবস্থায় রাজনীতি করতে পারবেন কি না সেটাই জানতে চাইছল সবাই। সে উত্তর পাপনের কথায় পেয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে অধিনায়কের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টিকে হালকা হলেও সমর্থন দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি। বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় রাজনীতির থেকে বেশি ভাল অবসর পরবর্তী পরিকল্পনা হতে পারে না। ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে সে রাজনীতিতে গেল- ধরেন তিন চার মাস পর সে যদি অবসরও নেয় তাহলে কি করবে এই সাড়ে চার বছর? অন্তত আরেকটি লাইনে সে থাকল যার মাধ্যমে সে ক্রীড়া ক্ষেত্রেও অবদান রাখতে পারবে।’
যার মানে দাঁড়াচ্ছে বিসিবি সভাপতিও চাচ্ছেন মাশরাফি রাজনীতিতে আসুক, নির্বাচন করুক। আসলেই এটাতে কেউ বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু দলে থাকাকালনি এই বিষয়টা মানতে পারছেন না অনেকেই।
আপনার মতামত লিখুন :