আদম মালেক : এসএমই ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কীম বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। বিশ্বের ১০০টি দেশে এই স্কীমের প্রচলন থাকলেও নেই বাংলাদেশে। বাংলাদেশে এসএমই ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কীম চালু হলে ব্যাংকিং ঝুঁকি কমে আসবে। উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে ২০০ কোটি টাকায় এই স্কিম চালু করা যেতে পারে বলে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থাপিত প্রবন্ধে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কীম ফর প্রোমোটিং একসেস টু ফাইন্যান্স ফর এসএমই’স’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এসএমই ক্রেডিট গ্যারান্টি ফান্ড (এসএমইসিজিএফ) চালু করা যেতে পেরে যা সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এসএমই ফাউন্ডেশন যৌথভাবে পরিচালনা করবে। সরকার বাজেটের মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকা দিয়ে এ ধরণের ফান্ড গঠনের কাজ শুরু করতে পারে। ক্রমেই এ অর্থের পরিমাণ বাড়বে। ব্যাংক এবং সরকার যৌথভাবে ঝুঁকি নিবে।
বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর ড. বরকত-এ-খোদার সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস.এম.মনিরুজ্জামান।
ডেপুটি গভর্নর এস.এম.মনিরুজ্জামান বলেন,এসএমই খাত অর্থায়নে বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। বিশেষ করে এসএমই খাতের অর্থায়নকে অনেকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে। এসব দিক বিবেচনায় এসএমই খাতের জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কীম চালু করলে সুফল বয়ে আসবে।
বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এসএমই খাত। তবে ব্যাংকারদের ঋণগ্রহীতাদের বিষয়টি একটু বেশি খেয়াল রাখতে হবে। কারণ অনেকের অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান থাকলেও অর্থ নেই। এসব উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক মো. ইয়াছিন আলি বলেন, অর্থনীতির সম্ভাবনাময় দিক গুলো পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করতে হবে। সাম্প্রতিক কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক এসএমই খাতের অর্থায়নের সুযোগ কমে গেছে। অনেকে চাহিদা এবং সম্ভাবনা থাকা স্বত্তেও অর্থ পায় না। এসএমই খাতের অর্থায়ন যাতে আরো সহজ হয় সেই বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
সম্পাদনা-বিশ্বজিৎ দত্ত
আপনার মতামত লিখুন :