এল আর বাদল : মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫২২ ডিক্লেয়ার, জবাবে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩০৪। বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলো ২১৮ রানে। এই লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সকালে প্রথম সেশনে যেনো টাইগারবাহিনীর ছিলো লেজেগোবরে অবস্থা।
ক্রিজে স্থির হওয়ার আগেই প্রথম ইনিংসে দুই সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম আর মমিনুল হক দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে পথ ধরলেন সাঁজ ঘরের। আর দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস নামকাওয়াস্তে (৩,৬) হিসাবের খাতা খুলে বিদায় নিলেন। সকালের সেশনটা কতোটা জ্বালাময় ছিলো,তা কেবল টের পেয়েছেন যারা মাঠে কিংবা টিভি সেটে খেলা দেখেছেন।
‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ বাংলাদেশের এই অবস্থায় কা-ারি হয়ে আসলেন ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মিঠুন জুটি। খাদে পড়া দলটাকে ঠা-া মস্তিস্কে দু’জন মিলে টেনে তোলার চেষ্টায় ব্যস্ত সময় পার করলেন। টেস্ট জয়ের স্বপ্নে এই দু’জনে খেললেন নান্দনিক ইনিংস। অধিনায়ক রিয়াদ ১১২ বল খেলে ১০১ রানের হার না মানা ইনিংস খেললেন, তার সতীর্থ মিঠুন জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে দারুণ সঙ্গ দিলেন অধিনায়ককে আর নিজেও গড়লেন হাফ সেঞ্চুরি। ১১০ বলের মোকাবিলায় ৬৭ রান দিয়ে মাঠ ছাড়েন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ২২৪ রান করে। আগের দিনের লিড পাওয়া ২১৮ রান নিয়ে মোট ৪৪২ রান নিয়ে বুধবার ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।
টাইগারদের দেয়া ৪৪৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে জিম্বাবুয়ে দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৬ রানে। জয়ের জন্য আরও ৩৬৭ রান দরকার তাদের। সবমিলিয়ে লড়াইয়ের আভাস থাকছেই। তবে লড়াইয়ের ইঙ্গিত থাকলেও ম্যাচ ঝুঁকে আছে বাংলাদেশের দিকেই। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিয়ান ব্রেন্ডন টেলর ৪ ও শন উইলিয়ামস ২ রানে অপরাজিত থেকে জিম্বাবুয়ের পঞ্চম দিনের লড়াই শুরু করবেন।
জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বাঁচাতে বা জিততে পারবে কিনা সেটা এক প্রশ্ন। কারণ টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে এত রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। ২০০২ সালে ৪১৮ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
আপনার মতামত লিখুন :