শিশির আলম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : নাব্যতা সংকটে যমুনা নদীর ডুবোচরে আটকে পড়েছে পণ্যবাহী ২০টি জাহাজ। একারণে গত ৪ দিন ধরে সার, সিমেন্ট ও তেলসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজ গুলো সরাসরি সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি নৌ-বন্দরে জমতে পারছে না। এর মধ্যে পাবনার বেড়া উপজেলার প্যচাকোলা থেকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি পর্যন্ত নৌ-পথে সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। এই অংশে অন্তত ২০টি জাহাজ আটকা পড়েছে। এ অবস্থায় বাঘাবাড়ি নৌ-বন্দর প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।
আটকাপড়া জাহাজের চালক ও বাঘাবাড়ি নৌ-বন্দর শ্রমিক নেতারা বলেন, পণ্যবাহী জাহাজ চলার জন্য এই নৌপথে ১০ থেকে ১৫ ফিট পানির গভীরতার প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে পানির গভীরতা রয়েছে ৬ থেকে ৭ ফুট। বিগত বছর যমুনা নদীতে ডিসেম্বর ২য় সপ্তাহ থেকে নাব্যতা দেখা দিলেও এবছর আগেই দেখা দিয়েছে এই সংকট। এবছর সবচেয়ে বেশি নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে পাবনার বেড়া উপজেলার প্যচাকোলা থেকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। এই নৌ-পথের কোথাও ৬ ফুট আবার কোথাও ৭ ফুট পানির গভীরতা রয়েছে। একারণে বাঘাবাড়ি বন্দরে সরাসরি জাহাজ আসতে পারছেনা। আরো অন্তত ৫০টি জাহাজ এই বন্দরে আসার অপেক্ষায় থাকলেও সেগুলো আসতে পারছে না।
এঅবস্থায় আটকে পড়া জাহাজ থেকে ট্রলার ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে কিছু কিছু পণ্য খালাস করে বাঘাবাড়ি বন্দরে আনা হচ্ছে। এতে করে সময় এবং পরিবহন খরচ আরো বেড়ে যাচ্ছে। এজন্য এই নৌ চ্যানেলে দ্রুত খনন করে মালবাহী জাহাজ চলাচলে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন আটকেপড়া জাহাজের চালক ও বাঘাবাড়ি নৌ বন্দরে কর্মরত শ্রমিকরা।
বাঘাবাড়ি নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক এস.এম সাজ্জাদুর রহমান বলেন, প্রতি বছর শুস্ক মৌসুমে নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। সে অনুযায়ী বিআইডব্লিউটি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে ড্রেজার চলে এসেছে। গত কয়েকদিন ধরে ড্রেজারের কাজ চলছে। আশা করি প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও আমরা নির্বিঘ্নে জাহাজ গুলো পারাপার করতে পারবো। নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হয়ে থাকে প্রকৃতিক নিয়মে। সুতরাং আমরা আগে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। এবছরও আমরা গ্রহণ করেছি।
আপনার মতামত লিখুন :