শিমুল মাহমুদ : নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র বিক্রির তৃতীয় দিনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সর্মথকদের। এ সময় পুলিশ অতর্কিতে গুলিবর্ষণ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ এবং ব্যাপক লাঠিচার্জে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়।
আহতরা হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা আব্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল নেতা মেহেদী হাসান নয়ন, ঢাকা মহানগর মতিঝিল থানা যুবদল নেতা মকবুল, খিলগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোস্তাক, মুগদা থানা স্বেচ্ছাসেবক দল ৭১ নং ওয়ার্ড সভাপতি সবুজ, কলাবাগান থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন, মুগদা থানা যুবদল ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি অরিন, শাহজাহানপুর ছাত্রদল নেতা মহিরুদ্দিন, হোসেন, ভাসান, টুটুল, শাহবাগ থানা বিএনপি নেতা কামাল, পল্টন থানা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির, সবুজবাগ থানা যুবলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মনির, ৪ নং ওয়ার্ড সহ-প্রচার সম্পাদক সাইফুল, মুগদা থানা ৭২ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মেহেদী হাসান মিরাজ, রমনা থানা ছাত্রদল নেতা প্রিন্স, ঢাকা পূর্ব মতিঝিল থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মানিক, যুবদল নেতা হৃদয় শেখ, বিমান বন্দর থানা বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন রতন, গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত আলী, ছাত্রদল সদস্য শামীম রেজা, নিক্সন, জাকারিয়া জিম, চাঁদপুর জেলা যুবদল নেতা দেওয়ান মোহাম্মদ জুয়েল, পিরোজপুর জেলা নাজিরপুর উপজেলা বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান, লাকসাম থানা ছাত্রদল নেতা নুরুন নবী মহসিন, নেছারাবাদ উপজেলা যুবদল নেতা শামসুল হক, পল্টন থানা শ্রমিক দল সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, খিলগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মনিরুজ্জামানসহ ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মী। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশংকাজনক। আহতদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সংসদ নির্বাচনের নমিনেশন ফরম কিনতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতে পুলিশ কর্তৃক গুলিবর্ষণ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ, জলকামান এর গাড়ী এবং রাবার বুলেট ট্রাক উঠিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত করার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :