আবু সুফিয়ান শুভ : ৪২৩ রানের টার্গেট দিয়ে নিজেরে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছিল স্বাগিতক বাংলাদেশ। সবাই ভেবেছিল দিনের শেষ বেলাতে সফরকারীদের কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের পথ পরিস্কার রাখবে। কিন্তু বিধি বাম! এখন পর্যন্ত ওপেনিং জুটিকেই ফেরাতে পারছিল না টাইগার বোলাররা। তবে মিরাজ ও তাইজুলের ঘূর্ণিতেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এসেছে। মাসাকাদজাকে ২৫ রানে ফিরিয়ে টাইগারদের সাফল্য এনে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
এরপর আরেক ওপেনার ব্রেন্ডন চারিকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। ৭৬ রান তুলে দিন শেষ করেছে সফরকারীরা। আর টাইগারদের শেষ বেলার সাফল্য ২ উইকেট। চতুর্থ দিন শেষে জিম্বাবুয়ের েস্কোর ৩০ ওভার, ৭৬/২। জয়ের জন্য সফরকারীদের এখনো ৩৭৬ রান দরকার। স্বগাতিকদের দরকার ৮টি উইকেট। পঞ্চম দিনের খেলায় ক্রিজে নামবেন শন উইলিয়ামস ও ব্রেন্ডন টেইলর।
এর আগে ২১৮ রানের লিড নিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ২২৪ রান করে মোট ৪২২ রানের সংগ্রহ শেষে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। বাংলাদেশের হয়ে দীর্ঘ আট বছর পর শতকের দেখা পেয়েছেন।
মিথুনের অভিষেক ফিফটি: মধ্যাহ্ন বিরতির আগে দারুন খেলে বাংলাদেশকে শুরুর ধাক্কা সামাল দিতে সাহায্য করেন মিথুন। বিরতির পর এসে দ্রুত রান তুলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। একই সাথে দলের লিড বাড়িয়ে নেন তিনশর বেশি।
মিথুন-মাহমুদুল্লায় রক্ষা: একের পর এক উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে জুটি গড়ে বিপদ মুক্ত করেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও অভিষিক্ত মিথুন। অর্ধশত রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের লিড বাড়াতে সাহায্য করেন এই দুই ডান হাতি।
ব্যর্থ মুশফিকও: প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মমিনুল হকের বিদায়ে মুশফিকের দিয়ে চেয়ে ছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু অসময়ে অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল স্কয়ার লেগে খেলে বিদায় নেন তিনি। ইনিংসের ১৩তম ওভারে ২৫ রান তুলতেই চার উইকেট নেই বাংলাদেশের।
ফের টপ অর্ডারে ধ্বসঃ কিন্তু দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। কাইল জারভিস দুই ওপেনারকে বিদায় করার পর মমিনুল হককে দ্রুত সাজঘরে পাঠান ডোনাল্ড ত্রিপানো। স্কোরবোর্ডে ১০ রান তুলতেই বাংলাদেশের তিন উইকেটের পতন ঘটে।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশঃ জিম্বাবুয়েকে ফলো অন নয়, সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামলো বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে ২১৮ রানে পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়েকে দ্বিতীয়বারের মত ব্যাটিংয়ে পাঠানোর কথা হচ্ছিলো।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসঃ এর আগে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের রেকর্ড গড়া ২১৯ রান ও মুমিনুল হকের ১৬১ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ৫২২ রানে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে। জিম্বাবুয়ের পেসার কাইল জারভিস পাঁচ উইকেট শিকার করেন।
জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসঃ জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম ইনিংসে ৩০৪ রান করে অল আউট হয়। ব্র্যান্ডন টেইলর ১১০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সেরা বোলার ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার।
আপনার মতামত লিখুন :