শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০৬:৩১ সকাল
আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০৬:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘আওয়ামী লীগের বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট’

রবিন আকরাম : ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করেনি। ফলে গত পাঁচবছর তারা সংসদে ছিল না, রাজপথেও দাঁড়াতে দেয়নি সরকার। মামলা-মোকদ্দমায় কোনঠাসা হতে হতে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের খেসারত দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে লেখক ও কলামিস্ট প্রভাষ আমিন।

বুধবার অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪-এ এসব কথা লিখেছেন তিনি।

প্রভাষ আমিন ভাষায়, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে আওয়ামী লীগের নেতাদের, মনোনয়নপ্রত্যাশীদের। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন তাদের মনে অতি আত্মবিশ্বাসের ফাঁপা বেলুন ফুলিয়ে দিয়েছে। গত ৫ বছরে এমপিদের অনেকেই জনগণের সাথে ছিলেন না। মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেও যেন হেঁটেছেন বাতাসে। তারা অনেকেই মনে করছেন যে কোনো ভাবে শেখ হাসিনা তাদের জিতিয়ে দেবেন এবং দল আবার ক্ষমতায় আসবে। মনোনয়ন পেলেই জয় নিশ্চিত, এই ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ নেতারা দলে দলে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।

২০১৪ সালের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এই ভাবনা অমূলক নয়। ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে ১৫৩ জন তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেনই, যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারাও তা জিতেছেন বিনা আয়াসে। দশম সংসদে এমন অনেক সদস্য আছেন, যারা স্বপ্নেও কখনো এমপি হওয়ার কথা ভাবেননি। অনেকে লটারি জেতার মত এমপি হয়ে গেছেন। এবারও তেমন স্বপ্নে বিভোর ছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের সে বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে দিয়েছে।

আওয়ামী লীগের এমপি এবং মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মনে মনে যত পোলাওই খান শেখ হাসিনা কিন্তু বারবার তাদের সতর্ক হরে দিয়েছেন, আগামী নির্বাচন আগের নির্বাচনের মতো হবে না। অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। ওবায়দুল কাদের সোমবারও অতি আত্মবিশ্বাসের ব্যাপারে নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছেন। অনেকদিনের কথাবার্তায় আমার মনে হয়েছে, শেখ হাসিনা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আন্তরিক। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব, এটা তিনি প্রমাণ করতে চান। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের যে গ্লানি তা মুছে ফেলে নিজের ও দলের গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তিটাই আরো উজ্জ্বল করতে চাইবেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়