শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০৮:৪৬ সকাল
আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০৮:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একাধিক আসনে লড়তে পারেন যারা

ডেস্ক রিপোর্ট : রাজনীতির নানামুখী হিসাব-নিকাশের কারণে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে একাধিক আসনে লড়তে পারেন বিএনপি জোটের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। এসব হেভিওয়েট নেতা নিজ নির্বাচনী আসন, আশপাশের আসন ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন আসন থেকে লড়তে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থীর সংকট, জোটের শরিক হিসেবে খুশি রাখাসহ নানা বিবেচনায় দুটি আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের এসব শীর্ষ নেতা। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি দল ও জোটের স্থানীয় নেতারাও দুটি আসন থেকে নির্বাচন করতে শীর্ষ নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সমকালকে বলেন, নির্বাচনে আসন বণ্টনের বিষয় নিয়ে এখনও ঐক্যফ্রন্ট বা দলীয় জোটের মধ্যে বৈঠক হয়নি। আসন বণ্টন চূড়ান্ত করার সময় কে ক'টি বা কোন আসন থেকে নির্বাচন করবেন, তা ঠিক হবে।

বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেন, প্রতিটি নির্বাচনেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা ধরনের হিসাব-নিকাশ করতে হয়। এবার তারা আওয়ামী লীগ জোটকে মোকাবেলা করতে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ধীরেসুস্থে ও বুঝেশুনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সূত্র জানায়, চেয়ারপারসনের নির্দেশনা অনুযায়ী মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিএনপি নিজ দল, ঐক্যফ্রন্ট বা ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর শীর্ষ ও যোগ্য নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন করবে। বিশেষ করে ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের দলকে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়ে সম্মানিত করে মূল্যায়ন করতে চায় বিএনপি। এ ক্ষেত্রে ওই সব দলে নির্বাচনী যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার মতো বেশি জনপ্রিয় প্রার্থী পাওয়া কঠিন হবে। এতে যেসব আসনে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন, সে আসন জোটের তুলনামূলক জুনিয়র নেতার জন্য শরিক দল দাবি করলে হেভিওয়েট নেতাকেই মনোনয়ন দেওয়ার কৌশল নেওয়া হতে পারে। জোটের শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ দুটি আসন পেয়ে যেতে পারেন। এতে জোটের আসন সংখ্যাও বাড়তে পারে, আবার আসনটি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কাও কিছুটা কমবে বলে মনে করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

জানা যায়, আইনি জটিলতায় বাধা না হলে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বরাবরের মতো এবারও তিন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এরই মধ্যে তার জন্য ফেনী-১ (ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া), বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৭ (গাবতলী) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনা হয়েছে। অবশ্য খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে না পারলে ওই সব আসনে বিকল্প প্রার্থী দেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন নিজে নির্বাচন করতে আগ্রহী নন। তবে তাকেও দুটি আসন থেকে নির্বাচনে চান নিজ দল ও জোটের শরিকরা। শেষ পর্যন্ত ড. কামাল নির্বাচন করতে রাজি হলে তাকে ঢাকা-১০ বা ঢাকা-১৪ এবং ঢাকা-১২ আসনের যে কোনো দুটিতে জোটগত মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।

সূত্র আরও জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দুটি আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। তিনি নিজ নির্বাচনী আসন কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি ও মেঘনা) ও কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে নির্বাচন করতে পারেন। দলীয় মনোনয়নের জন্য দুই আসন থেকেই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তিনি। এর মধ্যে কুমিল্লা-২ আসনটি দলের সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম এম কে আনোয়ারের।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নোয়াখালী-৫ (কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ) এবং ফেনী-১ (ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া) থেকে নির্বাচন করতে পারেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে না পারলে ফেনী-১ আসন থেকে তিনি নির্বাচন করতে পারেন।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ার একাংশ) ও চট্টগ্রাম-১৩ (সাতকানিয়া ও লোহাগড়া) আসন থেকে নির্বাচনে লড়তে চান। ২০০১ সালে দুই আসন থেকে নির্বাচন করে একটিতে বিজয়ী হন।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি) আসন ও ঢাকার একটি আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে ঢাকায় আসন দেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি রামগতির ওপর জোর দিচ্ছেন।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল ও সখীপুর) আসন ও অন্য একটি আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। অবশ্য তার ভাই আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে তার দলের মনোনয়ন দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসন ও ঢাকার একটি আসন থেকে নির্বাচনে লড়তে পারেন।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ) এবং ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জের একাংশ, কামরাঙ্গীরচর ও সাভারের একাংশ) অথবা ঢাকার অন্য আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ ভোলা-১ আসন ও ঢাকার একটি আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন।

এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার পঞ্চগড় ও ঢাকার একটি আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। দলের স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ও অবিভক্ত ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস ঢাকা-৮ (খিলগাঁও-সবুজবাগ) ও ঢাকা-৯ (মতিঝিল-পল্টন) থেকে ভোট করতে পারেন।
সূত্র ; সমকাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়