মোহাম্মদ রুবেল : ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে মানব জাতির প্রধান অস্ত্র এন্টিবায়োটিক। কিন্ত অতিরিক্ত, অপর্যাপ্তভাবে এ ওষুধ সেবনের ফলে মানুষের শরীলে এন্টিবায়েটিক জীবানু উদ্ভোব হচ্ছে। এই জীবানু মরণঘাতি হয়ে উঠতে পারে মানুষের জন্য বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এরপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষ, স্বাস্থ্যকর্মী ও নীতি নির্ধারকদের মধ্যে এন্টিবায়েটিক প্রতিরোধের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সোমবার হতে বিশ্বজুড়ে এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ শুরু হয়েছে।
সপ্তাহব্যাপি পালিত হবে এন্টিবায়েটিক সচেতনতা দিবস। এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহের আয়োজন করেছে ডিপিএম, এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টান্স কনটেইনমেন্ট, ভাইরাল হেপাটাইটিস ও ডায়রিয়া কন্ট্রোল প্রোগ্রাম রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এবারের বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য বিষয় অযথা এন্টিবায়োটিক সেবন ক্ষতিকারণ, বিনা প্রেসক্রিপশনে তা কিনতে বারণ।
সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহকে উপলক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সংগঠন এবং দেশীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সারাদেশে এ সচেতনতা সপ্তাহ পালন করা হবে।
এন্টিবায়োটিক ওষধ নিয়ে সিডিসি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিমাইক্রোবিয়াল বিক্রয় নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ গ্রহণ। জাতীয় পর্যায়ে রেফারেন্স ল্যাব ও উচ্চ মানের গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন এবং ল্যাব নেটওয়ার্ক গঠন করা। হাসপাতাল কিøনিক ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র সমূহে সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অগ্রধিকার দিয়ে নিশ্চিত করাসহ নানা পরিকল্পনা গ্রগণ করা হয়েছে।
সম্পাদনায়: শাহীন চৌধুরী
আপনার মতামত লিখুন :