শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০২:৩৪ রাত
আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০২:৩৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আজানের জবাব দেয়ার সুন্নত পদ্ধতি

এসএম আরিফুল কাদের : আজানের জবাব দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। আজান যখন হয় তখন কোরআন তেলাওয়াত বন্ধেরও নির্দেশ এসেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ আমলের রয়েছে সুন্নত তরিকা। যা সংক্ষিপ্ত পরিসরে পাঠক সমাজের জন্য উপস্থাপন করেছি। আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রহ.) বর্ণনা করেন, হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যখন তোমরা আজান শুনতে পাও, তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তার অনুরুপ বলবে। (সহিহ বোখারি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন : হাদিস নং ৫৮৪)

ইসহাক ইবনে রাহওয়াই (রহ.) বর্ণনা করেন, উক্ত হাদিসখানা ইয়াহইয়া (রহ.) থেকেও অনুরুপ বর্ণিত আছে। ইয়াহইয়া (রহ.) বলেছেন, আমার কোনো ভাই আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, মুয়াজ্জিন যখন “হাইয়া আলাস সালাহ” বলল, তখন তিনি (হজরত মুআবিয়া (রা.) “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াত্তা ইল্লা বিল্লাহ” বললেন। তারপর তিনি বললেন, নবিজি (সা.) কে আমরা এ রুপ বলতে শুনেছি। (সহিহ বোখারি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন : হাদিস নং ৫৮৬)

হজরত ইবনুস সারহ (রহ.) বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! মুয়াজ্জিনরা তো আমাদের ওপর ফজিলতপ্রাপ্ত হচ্ছে (আমাদের চেয়ে বেশি সওয়াবের অধিকারী হচ্ছে)। আমরা কিভাবে তাদের সমান সওয়াব পাব? তিনি (সা.) বললেন, মুয়াজ্জিনরা আজানের বাক্যগুলো যেরুপ বলে, তুমিও তদ্রুপ বলবে।
অতঃপর যখন আজান শেষ করবে, তখন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে তুমিও তদ্রুপ সওয়ার পাবে। (সহিহ আবু দাউদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন : হাদিস নং ৫২৪)

মুহাম্মাদ ইবনুল মুছান্না হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) হতে বর্ণনা করেন। হজরত ওমর (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন মুয়াজ্জিন আজানের সময় আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার বলবে, তখন তোমরাও আল্লাহু আকবার বলবে। অতঃপর মুয়াজ্জিন যখন আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে তখন তোমরাও আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে। অতঃপর মুআযযিন যখন আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ বলবে তখন তোমরাও আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ বলবে। অতঃপর মুআযযিন যখন “হাইয়া আলাস সালাহ” বলবে তখন তোমরা বলবে, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। অতপর মুয়াজ্জিন যখন “হাইয়া আলাল ফালাহ” বলবে তখন তোমরা বলবে লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। অতঃপর মুয়াজ্জিন যখন আল্লাহু আকবার বলবে তখন তোমরা আল্লাহু আকবার বলবে, অতঃপর মুয়াজ্জিন যখন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে, তখন তোমরাও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে। তোমরা যদি আন্তারিকভাবে এরুপ বল তবে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সহিহ আবু দাউদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন : হাদিস নং ৫২৭)

উপরে উল্লিখিত হাদিসগুলো থেকে জানা যায় যে, বিশ্বনবি (সা.) ও তাঁর সাহাবায়ে কেরাম (রা.) আজানের জবাবে মুয়াজ্জিন আজানে যা বলেন, তাঁরাও তদ্রুপ বলে আজানের জবাব দিয়েছেন। রাসুল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামদের (রা.) পথই সুন্নত বিধায় তদনুযায়ী আমল উম্মতে মুহাম্মদির কাছে কাম্য। কিন্তু তা না করে এর থেকে কিছু কম বেশি করা ইসলাম সমর্থন করবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়