শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০২:১৭ রাত
আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০২:১৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুমিল্লায় কৃষকের ঘরে নবান্ন উৎসবের আমেজ

মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা : কুমিল্লার প্রয়াত রাজনীতিবিদ অধ্যক্ষ কালাম মজুমদার বলেছিলেন,ফসলের মাঠই বলে দিবে কুমিল্লার কোথায় শুরু কোথায় শেষ। এমন কথাটির পূর্ণতা চোখে পড়ে কুমিল্লার ধানী জমিতে।
জেলার দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠজুড়ে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় দোল খাচ্ছে সোনালী ধান। পরিপক্ক ধানের ছড়ার ভারে নুয়ে পড়ছে ধানগাছগুলো। গত তিনমাস ধরে কৃষকদের হাড় ভাঙ্গা খাটুনিতে কুমিল্লায় এ বছর রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর এমন কাঙ্খিত ফলনে কৃষকদের ঘরে নবান্ন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

জেলার আর্দশ সদর,সদর দক্ষিন, বুড়িচং-ব্রাহ্মনপাড়া,লাকসাম মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ঘুরে ও কৃষকদে সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোপা আমনের ফলন বেশ বেশ ভালো হয়েছে। তবে কৃষি শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত জেলার ষাট হাজার কৃষক। এছাড়াও মাঠের ফসল গোলায় তোলার পরে নায্য দাম পাওয়া নিয়েও দ্বিধান্বিত কৃষকরা।

আদর্শ সদর, সদর দক্ষিন-বুড়িচং ব্রাহ্মনপাড়া অন্তত কুড়িজন কৃষক জানান, এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। তবে সার,বীজ ,কীট নাশক ও কৃষি শ্রমিকের মজুরি মিলিয়ে প্রতি ৪০ শতকে গড়ে ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন যদি ধানের নায্য দাম না পাওয়া যায় তাহলে অনেক ক্ষতি হবে বলে কৃষকরা জানান। নবান্ন উৎসবের বদলে শোক সইতে হবে কৃষকদের।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর রোপা আমনের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অর্জন বেশী হয়েছে। এ বছর রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ লাখ ৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমি। তবে আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ২শ ৪ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২শ ৫৪ হেক্টর বেশী আবাদ হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দিলিপ অধিকারী জানান, এ বছর রোপা-আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী হয়েছে। যার মধ্যে হাইব্রীড ১৫শ ৩৮ হেক্টর, উপশী ৯৯ হাজার ৬৪ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের রোপা আমন ৭ হাজার ২শ ২ হেক্টর। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ ভাগ ফসল কর্তণ করা হয়েছে। আগামী পনের দিনের মধ্যে মাঠের ধান কৃষকরা তাদের গোলায় তুলতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি আরো জানান, কৃষকদের সুবিধার্থে পরীক্ষামূলকভাবে কম্বাইন্ড হারভেস্টর ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে ফসল গোলায় তুলতে সময় ও অর্থ হ্রাস পাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়