শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০১:২২ রাত
আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০১:২২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বন্ধুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী নিহত, পরিবারের দাবি হত্যাকাণ্ড

ইসমাঈল হুসাইন ইমু : কক্সবাজার টেকনাফে পুলিশ কর্তৃক বন্ধুকযুদ্ধের নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা। তবে পুলিশ বলছে নিহতের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের পশ্চিম সাতঘড়িয়া পাড়াস্থ নিজ বাড়ী থেকে আলী হোসেন প্রকাশ সোনামিয়া কোম্পানিসহ তার পরিবারের সদস্য ও আশপাশের আরো দু’জনকে তুলে নিয়ে যায়। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোন অভিযোগে তাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে তার কোন কারণ পাওয়া যায়নি। পরে সোনামিয়ার পরিবারের সদস্যদের খোঁজ থানায় মিললেও মর্গে মিলেছে আলী হোসেন প্রকাশ সোনামিয়ার লাশের সন্ধান।

জানা যায়, ৬ নভেম্বর টেকনাফে এনজিও’র গাড়ী থেকে ১লাখ ১৫হাজার ইয়াবাসহ মীর কাশেম নামের গাড়ীর চালককে আটক করে র‌্যাব। উক্ত মামলায় আলী হোসেন প্রকাশ সোনামিয়া ও তার পুত্র কায়সার আহাম্মেদ প্রকাশ ছোটন মিয়াকে পলাতক আসামী করা হয়। পরের দিন ৭ নভেম্বর পৃথক আরেকটি মাদক মামলায় সোনামিয়ার স্ত্রী-সন্তানসহ প্রতিবেশীদের আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন টেকনাফ থানা পুলিশ। উক্ত মামলায় ৫হাজার ৫শ’ ইয়াবা ও নগদ দু’লক্ষ টাকা উদ্ধার দেখানো হয়।
নিহতের স্বজনদের দাবী, সোনামিয়া কোম্পানি একজন প্রতিষ্টিত গাড়ী ও মুদি ব্যবসায়ী। এছাড়াও তিনি বিএনপির প্রভাবশালী সদস্য। সব কিছু মিলিয়ে সোনামিয়া কোম্পানিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হত্যা করেছে বলে তাদের দাবী। তবে নিহত সোনামিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোন থানা আদালতে মামলাতো দুরের কথা মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পর্যন্ত নেই বলে দাবী করছেন তারা।

অপরদিকে পুলিশের দাবী, ৭ নভেম্বর ভোরে উপজেলার হোয়াইক্যং-বাহারছড়া অভ্যন্তরীণ সড়কের ঢালার মুখ নামক স্থানে গুলির শব্দ শুনে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সোনামিয়া কোম্পানিকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিহত ব্যক্তির বুক ও পেটে দুটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়