সৌরভ কুমার ঘোষ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুরে পাওনা টাকা চাওয়ায় বিধবাকে সিড়িতে বেঁধে নির্যাতন করার মামলায় এক মাদ্রাসা সহকারী সুপারসহ ২ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গত রোববার (১১ নভেম্বর) উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নে খামার তবকপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই আবুল কাশেমের পুত্র চিলমারী রাজারভিটা বালিকা আলিম মাদরাসার সহকারি সুপার মাহফুজুর রহমান (৫০) একই গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের স্ত্রী রশিদা বেওয়ার (৬০) নিকট থেকে তিন বছর পূর্বে ৬৫ হাজার টাকা ধার নেন। টাকা গ্রহনের দশ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার কথা থাকলেও তিনি টাকা দিতে তালবাহানা শুরু করেন। এমতাবস্থায় ঘটনার দিন পাওনা টাকা ফেরত চাইতে আসলে অভিযুক্ত সহকারী সুপার ক্ষিপ্ত হয়ে বিধবা রশিদা বেওয়াকে ঘরের বারান্দার সিঁড়িতে বেঁধে রাখেন। এক পর্যায় মাহফুজুর রহমান তার বাড়ির লোকজনের সহায়তায় বিধবা ও তার সাথে আসা আম্বিয়া খাতুনকেও টেনে হিছড়ে বাড়িতে এনে সিড়ির সঙ্গে কোমড়ে দড়ি বেঁধে মুখে গামছা দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুষিক নির্যাতন করেন।
খবর পেয়ে নির্যাতিতার স্বজনরা তাদের উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে থানা পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এবং সহকারী সুপারকে আটক করেন। এঘটনায় রশিদা বেওয়ার পুত্রবধূ খুকি বেগম বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ মর্জিনা বেগম (৫৫) নামে আরো এক জনকে আটক করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, ওই দুই মহিলা বর্তমান চিকিৎসাধীন আছেন।
উলিপুর থানার ওসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :