শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০১:০৬ রাত
আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০১:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারি বরাদ্দের ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিনা আফরিন, পটুয়াখালী : সরকারি বরাদ্দের প্রায় ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা: শাহ মো: মুজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে পটুয়াখালী দুদুক। দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি এবং কলাপাড়া থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দুটিতে সিভিল সার্জন ছাড়াও কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: চিনময় হাওলাদার কে আসামী করা হয়েছে।

দুদক সূত্র ও মামলার বিবরণে জানা যায়, দুমকী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম দুই বছরের জন্য উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের ছুটি নেন। তারই ফলশ্রুতিতে সিভিল সার্জন উক্ত উপজেলার আয়-ব্যয়ন কর্মকর্তার দায়িত্ব পান। ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে দুমকী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের জন্য কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ার প্রকল্প থেকে পরিস্কার পরিচ্ছনতা ও অন্যান্য কাজরে জন্য ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পান। সিভিল সার্জন উক্ত কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে ভূয়া স্পট কোটেশনের মাধ্যমে দুমকী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কমপ্লেক্স এর মাঠ ভরাট,হাসপাতালের ট্যাংকি পরিস্কার,দরজা ও গ্রীল নির্মান,ফার্নিচার ক্রয়সহ বিভিন্ন ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করেন।

পরে তার নিজের নামে রংপুর সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ১২১০০০০২৪৯১ নম্বর হিসেবে প্রায় চার লাখ টাকা এবং তার ছেলে ডা: জাহিদুল ইসলামের নামে সিটি ব্যাংক সৈয়দপুর শাখায় হিসেব নম্বার ২৮০২৩৬৮৭৯৩০০১ তে চার লাখ টাকা ট্রান্সফার করেন। বাকী টাকা ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী মো: আলমগীরের নামে চেক প্রদান করে নগদ টাকা তার কাছ থেকে গ্রহন করেন। একই ভাবে কলাপাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়েল অনুকূলে বরাদ্দকৃত ১০ লাখ টাকা ভূয়া বিল ভাইচার সুজন করেন আত্মসৎ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার বাদী দুদকের উপ সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস জানান,সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা: শাহ মো: মুজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে এ মামলা করা হয়েছে। পরবর্তী তদন্তে আরো অনেক কিছু বেড়িয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান মামলার সত্যতা স্বীকার করে জানান,বেলা ১২টায় এজাহারের কপি তিনি পেয়েছেন। মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। পটুয়াখালী সদর থানার মামলা না-৩০।

অভিযুক্ত সিভিল সার্জন ডা. শাহ মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি টেলিভিশনে এমন একটি মামলার খবর দেখেছেন। এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। খোঁজ নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাবেন বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়