এইচ এম মিলন, কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি : পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী রবিউল আলম হাওলাদার(৩৫) নিহত হয়েছে। তার নিহতের খবরে স্বস্তি ফিরে আসে কালকিনি উপজেলার সাধারন মানুষের মাঝে। সে কালকিনি উপজেলার সাহেবরাপুর এলাকার ক্রোকিরচড় গ্রামের লালচান হাওলাদারের ছেলে।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের পিরেরপাড় ফুলতলা গ্রামে বসে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন বলে পুলিশ জানায়। তবে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও তিনটি রামদা উদ্ধার করেন।
পুলিশ ও এলাকা সুত্রে জানাগেছে, নিহত রবিউল আলম বরিশালের উজিরপুরের জল্লা ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ ঘোষ নান্টু হত্যা মামলার প্রধান আসামী ছিলেন। তিনি ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী কাইল্লা পলাশের সহযোগী। তার বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় অস্ত্রসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। তাকে মাদারীপুর জেলার একটি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে উজিরপুর থানা পুলিশ।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত তিনটার দিকে অস্ত্র উদ্ধারে পিরেরপাড় ফুলতলা গ্রামে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা রবিউলের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায় রবিউল গুলিবিদ্ধ হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উজিরপুর হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। তবে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও তিনটি রামদা উদ্ধার করেন। এ দিকে রবিউলের নিহত হওয়ার খবরে তার নিজ উপজেলা কালকিনি বাসীদের মাঝে স্বস্তির ছায়া নেমে আসে। তিনি কালকিনিতেও সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েজন জানান, সন্ত্রাসী রবিউলের নিহতের ঘটনায় আমাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কারন এদের মত সন্ত্রাসীদের এভাবেই বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করি। সে এলাকার আতঙ্ক ছিলো।
মঙ্গলবার সকালে কালকিনি থানার ওসি তদন্ত হারুন অর রশিদ এ বিষয় বলেন, রবিউলের নিহতের ঘটনায় আমরা ম্যাসেজ পেয়েছি। তবে কালকিনি থানায় মামলা আছে কিনা খুজে দেখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে জল্লা ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামী ছিলেন নিহত রবিউল।
আপনার মতামত লিখুন :