শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ০৭:১২ সকাল
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ০৭:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অন্যান্য নির্বাচন থেকে সংসদ নির্বাচন ভিন্ন: সিইসি

সাইদ রিপন: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, অন্যান্য নির্বাচন থেকে সংসদ নির্বাচন ভিন্ন। এ বছর নির্বাচনের পরিবেশ হবে অন্যরকম। আমাদের দেশে কখনো হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাষিত নির্বাচন, কখনো সেনাবাহিনী, কখনো কেয়ারটেকারের অধীনে। কিন্তু অন্যান্য নির্বাচন থেকে এই নির্বাচন সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ সংসদ থেকে সরকার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তিনি বলেন।

সিইসি বলেন, আপনারা দেশি-বিদেশি সকল স্তরের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ২০১৪ সালে এমন একটি নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়নি। আমরা সেজন্য আনন্দিত, যে এই নির্বাচনে সব দল অংশ নিতে যাচ্ছে। সে কারণে আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, ভোটের তারিখে পেছানোর আর সুযোগ নেই। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়ায় আনন্দিত কমিশন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে অনিয়ম হওয়ার সুযোগ কম বলেও উল্খে করেন তিনি। এসময় ৩০ ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন আর পেছানোর কোন সুযোগ নেই।

সিইসি বলেন, ৩০ তারিখ নির্বাচনের দিন নির্ধারিত হয়েছে। এরপর আর তারিখ পেছানোর সুযোগ নেই। প্রথম কারণ হলো জাতীয় পর্যায়ে এতো বড় একটি নির্বাচনের পর ২৯ তারিখই কিন্তু সংসদ বসতে হবে। ফলে এটি বড় মাপের সময় নয়। কারণ নির্বাচনের পর ফলাফল আসবে, এরপর গেজেট করা। এই তিনশ’ আসনের গেজেট করার জন্য সময় লাগে। দ্বিতীয়ত হলো, টঙ্গীর ইজতেমা হবে জানুয়ারির ১১ তারিখে। এটি আমাদের চিঠি দেয়া হয়েছে। এ সময় সারাদেশ থেকে আইশৃঙ্ঘলা বাহিনীর সদস্যদের আনতে হয়। যাতে কোন সহিংসতা না ঘটে।

৩০ তারিখও একটি যথেষ্ট সময় নয়, আরও সময় নেয়া দরকার ছিল। কিন্তু আমরা সেটি করতে পারিনি। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বড়দিনসহ বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে ২৩ তারিখ নির্বাচনের বিষয়টি পরিকল্পনা করা হয়। যেহেতু নির্বাচনে সবদল অংশ নিয়েছে,তাতে আমরা খুশি হয়েছি। কিন্তু ভোটের তারিখ আর পেছানোর সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত , আজ ( মঙ্গলবার) সকালে নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, সরকারের কৌশলের অংশ হিসেবেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে । তিনি দলের পক্ষ থেকে আবারো একমাস নির্বাচন পেছানোর দাবি জানান। ‘রিজভী বলেন, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট থাকায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা যাতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে না আসতে পারে সে কারণেই ৩০ ডিসেম্বরকে নির্বাচনের তারিখ হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে।

এখন থেকে নির্বাচনের সকল দায়িত্ব রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উল্লেখ করে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন হতে হবে সম্পূর্ণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। ভোট একটি উৎসব। ভোটের দিন ভোটাররা আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে। সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথ পালন করবে। ভোটের বুথ ছাড়া বাকি সব স্থানে পর্যবেক্ষকসহ সবাই যেতে পারবেন, এবং তা পর্যবেক্ষণ করতে পারেবন। যে নির্বাচন জনগণ গ্রহন করবেন, যে নির্বাচন নিয়ে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে- সেটিই হবে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন। এই অবস্থা আপনাদের (রিটার্নিং কর্মকর্তা) সৃষ্টি করতে হবে। এখন থেকে নির্বাচনের সকল দায়িত্ব আপনাদের। কিভাবে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন, ভোটকক্ষ তৈরী করবেন সব দায়িত্ব আপনাদের। সবাই আন্তরিকভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেন, তাহলে সামগ্রিকভাবে আমাদের উপর জনগণের সন্দেহ হবে না।

প্রার্থী এবং রাজনীতিবীদরা সম্মানিত ব্যক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকেই এমপি ছিলেন, অনেকে যারা এমপি ছিলেন না তারা এলাকায় সম্মনিত ব্যক্তি। তাদের সাথে যদি সুসম্পর্ক রাখেন, তাহলে কেউই নির্বাচনে সমস্যা সৃষ্টি করবেন না। তাদেরকে কখনো প্রতিপক্ষ হিসেবে নেবেন না। তাদের সহযোগীতা করলে তারাও আপনাদের সহযোগী, বন্ধু হিসেবে কাজ করবে। বিরোধীতা করবে না। নিরপেক্ষতা হবে একমাত্র মাপকাঠি।

নির্বাচনে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখা কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকবে ইসি। কর্মকদর্তাদের কোন শিথিলতা কিংবা গাফিলতি বরদাশতা করা হবে না বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, রিটার্নিং অফিসারদের ব্যর্থতার দায় যাতে ইসির ঘাড়ে না আসে, সেদিকে নজর থাকবে কমিশনের। কমিশনার কবিতা খানম বলেন, সব সমস্যা সমাধানে রিটার্নিং অফিসারদের কাজ করতে হবে দক্ষতা ও কৌশলের সাথে। ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের অনুষ্টানের সভাপতিত্ব করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়