আব্দুর রাজ্জাক: ইরানের ওপর মার্কিন ডলার ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অন্যান্য শত্রুভাবাপন্ন রাষ্ট্রগুলোকে সতর্কবাণী দিলেও এটি ওয়াশিংটনের জন্য বুমেরাং হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন চলচিত্র নির্মাতা ম্যাক্স কাইসার। ইতোমধ্যেই ইরানের মিত্ররাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত রাশিয়া ও তুরস্ক ডলারের বিকল্প মুদ্রায় বাণিজ্য বাড়াতে তাগিদ দেয়া শুরু করেছে।
কোন দেশের সীমানার বাইরে মুদ্রা বিনিময় সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করে ‘দ্য সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিনান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন’ (সুইফ্ট)। গত ৫ নভেম্বর ইরানের তেল ও গ্যাস রপ্তানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র আগের অবরোধ পুনর্বহাল করায় তেহরান আর সুইফটের অধীনে ডলার বিনিময় করতে পারবে না। তাই ইরানের সাথে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোকে বিকল্প মুদ্রার কথা ভাবতে হচ্ছে। এমনকি রাশিয়ার ৬প্রধান প্রধান তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যেই পশ্চিমা ক্রেতাদের ডলারের পরিবর্তে ইউরো বা অন্যমুদ্রায় তেল কেনার ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ শুরু করেছে।
গত ৮ মে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালে ইরানের সাথে স্বাক্ষরিত চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মান, ব্রিটেনসহ ৬জাতির পরমাণু সমঝোতাচুক্তি ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন’ (জেসিপিওএ) থেকে বেরিয়ে যায়। ওয়াশিংটন সরে গেলেও ইউরোপ ও বাকি রাষ্ট্রগুলো ইরানের সাথে তাদের চুক্তি টিকিয়ে রেখে সকল অবরোধ মোকাবেলার ঘোষণা দেয়। এমনকি এরপর থেকে তেহরানের সাথে ইউরোপের বাণিজ্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। আরটি
আপনার মতামত লিখুন :