তরিকুল ইসলাম : মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য বাছাইকৃত রোহিঙ্গারা দেশটিতে ফিরতে না চেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কথাটা সঠিক নয়। আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই। আমি এসব বিষয় শুনিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় যোগদেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক। পরে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদুল হক বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যাক সেটাই আমরা চাই। এজন্য মিয়ানমার বাংলাদেশ কাজ করছে। প্রত্যাবসনের জন্য রোহিঙ্গাদের তথ্য মিলিয়ে দেখার কাজটি মিয়ানমার করছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবান নিয়ে আমরা আশাবাদী। প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে। এটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ।
রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইনে বাড়ি-ঘর তৈরির কাজে সহায়তা করছে ভারত ও চীন। ভারত সেখানে ২৮৫টি আর চীন ১ হাজার বাড়ি-ঘর তৈরি করেছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে জাতিসংঘ। ঢাকায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রোহিঙ্গাদের যে তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে, সেই তালিকা একইদিন জাতিসংঘের শরণার্থী অফিসকেও হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ-মিয়ানমার ১৫ নভেম্বর দিনক্ষণ ঠিক করেছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের দাবি, তাদের নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা ও নিজ জমিতে ফেরার কোনো নিশ্চয়তা না দেওয়ায় মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও সৃষ্টি হয়নি।
এ কারণে প্রত্যাবাসন নিয়ে ভয়ে আছে রোহিঙ্গারা। এদিকে প্রত্যাবাসনের তালিকায় নাম রয়েছে,এমন খবরে কক্সবাজারের টেকনাফের একটি রোহিঙ্গা শিবিরের ৯ জন রোহিঙ্গা ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।
শরণার্থী প্রত্যাবাসনের কাজে সম্পৃক্ত বাংলাদেশি বা আন্তর্জাতিক কোনও কর্মকর্তা বা অতিথির আগমনের খবর পেলেই ঘর ছেড়ে আশেপাশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তালিকাভুক্ত আরও অনেক রোহিঙ্গা। স্বেচ্ছায় যাওয়ার কথা থাকলেও তারা এখনও আছেন প্রাণভয়ে রয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :