শিরোনাম
◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ০৬:৪৮ সকাল
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ০৬:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে কথাটা সঠিক নয় : পররাষ্ট্র সচিব

তরিকুল ইসলাম : মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য বাছাইকৃত রোহিঙ্গারা দেশটিতে ফিরতে না চেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কথাটা সঠিক নয়। আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই। আমি এসব বিষয় শুনিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় যোগদেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক। পরে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শহীদুল হক বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যাক সেটাই আমরা চাই। এজন্য মিয়ানমার বাংলাদেশ কাজ করছে। প্রত্যাবসনের জন্য রোহিঙ্গাদের তথ্য মিলিয়ে দেখার কাজটি মিয়ানমার করছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবান নিয়ে আমরা আশাবাদী। প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে। এটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ।

রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইনে বাড়ি-ঘর তৈরির কাজে সহায়তা করছে ভারত ও চীন। ভারত সেখানে ২৮৫টি আর চীন ১ হাজার বাড়ি-ঘর তৈরি করেছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে জাতিসংঘ। ঢাকায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রোহিঙ্গাদের যে তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে, সেই তালিকা একইদিন জাতিসংঘের শরণার্থী অফিসকেও হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ-মিয়ানমার ১৫ নভেম্বর দিনক্ষণ ঠিক করেছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের দাবি, তাদের নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা ও নিজ জমিতে ফেরার কোনো নিশ্চয়তা না দেওয়ায় মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও সৃষ্টি হয়নি।

এ কারণে প্রত্যাবাসন নিয়ে ভয়ে আছে রোহিঙ্গারা। এদিকে প্রত্যাবাসনের তালিকায় নাম রয়েছে,এমন খবরে কক্সবাজারের টেকনাফের একটি রোহিঙ্গা শিবিরের ৯ জন রোহিঙ্গা ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।

শরণার্থী প্রত্যাবাসনের কাজে সম্পৃক্ত বাংলাদেশি বা আন্তর্জাতিক কোনও কর্মকর্তা বা অতিথির আগমনের খবর পেলেই ঘর ছেড়ে আশেপাশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তালিকাভুক্ত আরও অনেক রোহিঙ্গা। স্বেচ্ছায় যাওয়ার কথা থাকলেও তারা এখনও আছেন প্রাণভয়ে রয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়